পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন পাষাণ চাপা দিয়া রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল। ঐ যে স্তুপাকার প্রস্তর দেখিতেছেন, ঐ স্থানে কারাগার ছিল ; মুসলমানেরা তাহা ভাঙ্গিয়া ঐ মসজিদটি নির্মাণ করিয়া রাখিয়াছে। যে পুষ্করিণীটি দেখিতেছেন, ইহাতে দেবকী স্মৃতিক-স্বান করিয়াছিলেন । পুষ্করিণীটি গোয়ালিয়রের মহারাজ যত্ব করিয়া বাধাইয়। দিয়াছেন। ঐ ভাঙ্গা ঘরে দেবকী ও শ্রীকৃষ্ণের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ইন্দ্র । দৈত্যেরা সকলই পারে । ব্ৰহ্মা। এ তোমার অন্যায় কথা, কেন, দেবতারাই কি সকল পারে না ? তুমি বৃত্রসংহার-সময়ে কি কারণে নিরপরাধী দধীচি-মুনির অস্থি লইলে ? অতএব কংস নিজের প্রাণরক্ষার জন্য যে কাজ করিয়াছিল, তাহাতে তাহাকে দোষ দেওয়া অন্তায় । এক্ষণে বেলা হইয়াছে, চল স্বান করে আহারের উদ্যোগ করা যাক। বলিয়া, সকলে যমুনাতে স্নান করিতে উপস্থিত হইলেন। বরুণ । এই যমুনা পার হয়ে বস্তুদেব গোকুলে শ্ৰীকৃষ্ণকে রেখে আসেন । ব্ৰহ্মা । আহা ! কত উত্তম উত্তম বাধাঘাট উভয়তীরে রহিয়াছে । বরুণ। ঐ যে পরপারে ঘাট দেখিতেছেন, ঐ ঘাটে পুতনাকে দগ্ধ করা হয়। এই পূতনা-রাক্ষসী শ্ৰীকৃষ্ণের নিধন জন্য স্তনে বিষ মিশ্ৰিত করিয়া বৃন্দাবনে এসেছিল। শ্রীকৃষ্ণ এমন জোরে তাহার স্তন টানেন যে, তাহাতেই তাহার মৃত্যু ঘটে । এই ঘাটকে বিশ্রামঘাট কহে । কৃষ্ণ ও বলরাম কংসকে নিধন করিয়া এই ঘাটে বিশ্রাম করিয়াছিলেন। সন্ধ্যার সময় ব্ৰজবাসীরা আসিয়া যখন যমুনাদেবীকে আরতি করে, তখন ঘাটের বড় চমৎকার শোভা হয় । নারা । জলে যে কচ্ছপ, স্নান করি কিরূপে ? শুনেছি কাছিমে কামড়ালে মেঘ না ডাকলে ছাড়ে না । ইন্দ্র । তুমি নির্বিঘ্নে স্নান কর ; যদিই কাছিমে ধরে, আমি মুল্লুকের মেঘ সকলকে ডেকে দেব। নারা । তারপর রক্ত-ছোট জলুনীর কি ? ইন্দ্র। উপরে বিস্তর পাথুরে কয়লা পড়ে আছে—ঘষে দিলেই সেরে যাবে। আহা ! এত কাছিম স্বর্গে থাকলে বুনোপাড়ার লোক খেয়ে ভুট করতো। বরুণ। এখানেও কাছিম-খেগো বিস্তর আছে, কেবল তীর্থস্থান বলে জীব হত্য করতে পায় না। ভাল, পিতামহ । বৃন্দাবনে এত কাছিম কেন ? : &kr