পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্তো আগমন আশ্চর্ঘ্য আশ্চৰ্য্য মৃতদেহ সকল সাজান রহিয়াছে। কাহারও দুই মাথা, . কাহারও চারি হস্ত কাহারও দুই অঙ্গ একত্র করা কাহারও বানরের মত আকৃতি ইত্যাদি। ইহার পর তাহারা অপর একদিকে গিয়া দেখেন—বড় বড় বোতলের মধ্যে নানাজাতীয় মৃত সর্প স্পিরিটে ডুবান রহিয়াছে। পরে হাসপাতালের মধ্যে প্রবেশ করিলে দেবরাজ বাড়ীটির সৌন্দর্ঘ্যের যথেষ্ট প্রশংসা করিতে লাগিলেন এবং কহিলেন “দেখ বরুণ । কলিকাতার মধ্যে আমি যত ব্যঞ্জী দেখিয়াছি তন্মধ্যে এইটকেই সৰ্ব্বাপেক্ষ স্বন্দর বলিয়া বোধ হইতেছে। ইহার মোটা মোটা থামগুলি তিন তালা পৰ্য্যন্ত উঠায় এবং চতুর্দিকে বারাও থাকায় আরো সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হইয়াছে । ব্ৰহ্মা । বরুণ ! মেডিকেল কলেজ হইতে চল । আর মড়া কাটা দেখিবার আবশ্বকতা নাই। হিন্দুরা সহজে এ কাজে প্রবৃত্ত হইয়াছে দেখিয়া আমি বড় বিস্মিত হইলাম । বরুণ। প্রথমে কি কেহ জাতি যাইবার ভয়ে সহজে এ কাজে প্রবৃত্ত হইয়াছিল। ডাক্তার মধুসূদন গুপ্ত প্রথমে এই কলেজে ভক্তি হইয়া পথ দেখান। তৎপূৰ্ব্বে বাঙালীমাত্রেই ইংরাজী চিকিৎসাকে ঘৃণা করিতেন । ইংরাজ ডাক্তারের প্রথমে মধুসূদন গুপ্তকে ভাক্তার হইতে দেখিয়া ইংরাজী বাদ্য বাজাইয়া তাহার সম্মান করিয়াছিলেন। অস্থাপি এই মেডিকেল কলেজে র্তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। এক্ষণে মেডিকেল কলেজের ছাত্রসংখ্যা খুব বেশী হইয়াছে। বরুণ এখান হইতে দেবগণকে লইয়া চুণাগলির মধ্যে প্রবেশ করিয়া কহিলেন এই স্থানে ফিরিঙ্গিরা বাস করে । এই স্থানই তাহাদিগের হোম অর্থাৎ বিলাত। এই চুণাগলিতে বিস্তর বেশুiও বাস করে । এ স্থানটা খালাপীদিগের মদ্যপান ও বেখ্যা লইয়া আমোদ করিবার প্রধান জাডড । দেবগণ দেখেন–রাস্তায় কাল কাল স্থূলকায় পেট মোটা মাগীগুলো স্বাগরা পরিয়া দাড়াইয়া আছে। দেবতারা যেমন তাদের প্রতি চাহেন, অমনি তাহারা এক মুখ দন্ত বাহির করিয়া হাসিয়া কহে কম হিয়ার— ব্ৰক্ষা । বরুণ A মাহীগুলো বলে কি ? বরুণ । কে জানে মদ খেয়ে কি বলচে । নারা। বরুণ । বিস্তর কুৎসিত ও কদাকার চেহারা দেখচি—এমন মূৰ্ত্তি ত কুত্ৰাপি দেখি নাই। মাগীগুলো ঐ বেশে অন্ধকারে দাড়াইয়। శరీ*