পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা স্বামী পাবার যে নাই ; সমস্ত রাত্রি তিনি বেখাবাড়ী পড়ে আছেন । সস্তান সন্ততি নাই। সংসারের কাজ ? তাই বা কি কাজ—তারা যখন আসেন, কেঁচায় চাল, হাতে মাচ ও তরকারী, বগলে শালপাতা । স্বাধীনতা আমাদের এমন, পাশ দোরে পর্যাস্ত তালা দিয়েছে। যে মিন্সেরা নিজে "খারাপ তারা পরিবারকেও খারাপ দেখে । নারা । বরুণ এ কি ? বরুণ । তিন ভ্রাতার তিন পরিবারে দুঃখের কথা কহিতেছে। এই তিন ভাই তিনটি বেষ্ঠার সখের উপপতি । উহাদের বেখ্যাকে কিছু দিতে হয় না ; বরং বেখার প্রত্যহ একটি করে সিদে দেয় । আর মাস মাস ২ ১২৫ টাকা করিয়া মাসহরা দেয় তদ্ভিন্ন বেটাদের জুতা কাপড় যখন যাহা জাবগুক, ঐ মাগীরা কিনে দেয় । বড়টাকে ৫ • • টাকা দিয়া তার বেখ্যা কাপড়ের দোকান ক’রে দিয়াছে। মিন্সেগুলোকে যদি দেখ, মাথার চুল ফিরান, গায়ে পীরাণের উপর চ্যেন ঘড়ী ব্যতীত বাহির হয় না । নারায়ণ মৃদুস্বরে কহিলেন, “কলিকাতার এ ত বড় কম সুবিধা নয়। যাক বেটার বাড়ী অাসে কখন ?” বরুণ । বড়টা অালে রাত্রি ২l e টার সময় । মেজটা আসে ৩ টার সময় এবং ছোটটা আসে উষাকালে । আড়াইটে রাত্রির পর হইতে পাড়ার লোকের ঘুমাবার যে থাকে না । বেটার এসে দ্বারে ঘন ঘন ঘা মারে, *ওগো দোর খোল” “দোর খোলো” শব্দে চীৎকার করে । এখান হইতে র্তাহারা বৌবাজারের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন—নানা স্ত্রব্যের দোকান-শ্রেণী। দোকানের মধ্যে মিষ্টারের দোকানই অধিক। বরুণ কহিলেন, “এই বাজারের সন্দেশ বড় বিখ্যাত। এখানে অনেক বাঙ্গালী দোকানদার খুচরা দ্রব্যাদি নিলামে ক্রয় করিয়া অনিয়া বিক্রয় করিয়া যথেষ্ট লাভ করিয়া থাকে। বাজারটার অধিকারী বাবু মতিলাল শীল।” এই সময় দেবগণ দেখেন—একটী লোক সন্দেশ কিনিয়া মূটে ভাড়া করিতেছে এবং কহিতেছে, "ওরে মুটে । কিছু মিষ্টদ্রব্য এবং কয়েক খান কাপড় লইয়া ভবানীপুরে আমার মেয়ের বাড়ী ষেতে কি নিবি ?" মুটে আট জামা চাহিল। লোকটি তাহার সহিত চারি আন চুক্তি করিয়া সন্দেশ মাথায় তুলিয়া দিয়া বস্ত্র ক্রয় করিয়া দিতে চলিল। । বরুণ । পিতামহ , ভাক্তার সরকারের সায়েন্স সভা দেখুন। to?