পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা প্রসাদ বলে বলবার নয় মা, ব'ল্পে পরে আপন পরে। মায়ের ধনে পুত্রের দাবী, সে ধন দিলি তোর কোন বাবারে । দেবগণ গান শুনিয়া হাশু করিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন, *ভোলাদার উপযুক্ত গান হয়েছে।” & ব্ৰহ্মা। বরুণ। আমাদের উপও গান ক’চে নয়? ছোড়ার গলাটা ত মিষ্ট আছে, ওকে যাত্রার দলে দিলে হয় ! বরুণ । এক্ষণে ব্যবসার মধ্যে যাত্রার ব্যবসাতে একটু লাভ আছে, ও গেলে সে পথও খুচে যাবে। ব্ৰহ্মা। বরুণ! ছেলেরা যে গানটা গাইলে, ঐ গানের শেষে ব’লচে-- প্রসাদ বলে,-প্রসাদট কে ? এ ব্যক্তি উত্তম সঙ্গীত রচনা করেছেন ; ইহার বিষয় আমাকে বিশেষ করিয়া বল । বরুণ । ইনি আন্দাজ ১৬৪৩ শকে হালিসহর পরগণার অন্তর্গত কুমার হট নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম রামরাম সেন । ইহারা জাতিতে বৈদ্য। রামপ্রসাদ বালাকালে বাঙ্গালা, সংস্কৃত, পারস্ত ও হিন্দি ভাষা স্বন্দরন্ধপে শিক্ষা করিয়াছিলেন । যৌবনের প্রারম্ভে ইহার পিতৃবিয়োগ হওয়ায় সমস্ত সংসারের ভার তার নিজ স্কন্ধে পড়ে, সুতরাং কলিকাতার কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির বাড়ীতে আসিয়া একটা মূহূরিগিরি কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন। ইনি যে সমস্ত খাতা পত্রে জমীদারি হিসাবাদি লিখিতেন, অবসর পাইলেই ঐ খাতার চারি ধারে যে শাল স্থান থাকিত, তাহাতে সঙ্গীত লিখিয়া পরিপূর্ণ করিয়া ব্ৰাখিতেন। এক দিন ই হার প্রভু ঐ খাতা দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্ত হন, অবশেষে পাঠ কবিয়া বিশ্বিত ও মুগ্ধ হইয়া রামপ্রসাদকে কেন তিনি দাসত্ব স্বীকার করিয়াছেন ? জিজ্ঞাসা করেন। রামপ্রসাদ তদুত্তরে সংসারের কষ্টের বিষয় জ্ঞাত করাইলে তিনি ত্ৰিশ টাকা করিয়া মাসিক বৃত্তি দিবেন প্রতিশ্রত হইয়া দাসত্ব হইতে মুক্ত করিয়া দেন। এই বৃত্তি পাইয়া রামপ্রসাদ বাটী আসিয়া অহোরাত্র কেবল শক্তিবিষয়ক সঙ্গীত, সংকীৰ্ত্তন ও সাধন ভজনায় অতিবাহিত করিতে লাগিলেন । এই সময় কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাহার গুণের কথা শুনিয়া সাক্ষাৎ করেন এবং গুণের পরীক্ষা লইয়া বিশেষ আহলাদ প্রকাশ করেন। রাজা তাহাকে নিজের সভাসদ করিবার প্রস্তাব করিলে রামপ্রসাদ অসম্মত হন । স্নাহা হউক, রাজা ইহাতে অসন্তুষ্ট না হইয়া কবিরঞ্জন উপাধি ও এক শত বিধা নিষ্কর ভূমি প্রদান করিয়াছিলেন। 建鹤穆