পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্ত্যে আগমন শরীরটা অমুস্থ থাকায় অদ্য অপরাহেই সকলে নগরভ্রমণে চলিলেন এবং মৃর্জাপুরস্ট্রটু দিয়া এলবাট কলেজ, রিপন কলেজ, চাপাতলার দীঘি ও কতকগুলো কাঠের গোলা এবং চাপাতলার ডিসপেনসারি দেখিয়া শিয়ালদহ ষ্টেশনে উপস্থিত হইলেন । নারা । বরুণ ! এ ষ্টেশনটি বড় সুন্দর। এস্থানের নাম কি ? বরুণ । এই স্থানের নাম শিয়ালদহ। এই শিয়ালদহ ষ্টেশন হইতে পূর্ববঙ্গ রেলওয়ে আরম্ভ হইয়া অনেকগুলি ভদ্রপল্লীর মধ্য দিয়া পদ্মানীতীরস্থ গোয়ালন্দ নামক স্থান পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। কলিকাতার পর পারে যেমন হাবড়া, এ পারে তেমনি শিয়ালদহ । এই ষ্টেশনের মধ্যে রেলওয়ের এজেণ্ট অফিস, ইঞ্জিনিয়ার অফিস, একাউণ্টেণ্ট অফিস, অডিট ও ট্রাফিক অফিস এবং লোকোমটিভ অফিস নামে কতকগুলি অফিস আছে। উপ। এ রেলওয়েতে আমার কৰ্ম্ম হয় না ? এখানেও কি বড়বাবু আছে ? দেবগণ একটি স্বন্দর দালানের মধো প্রবেশ করিলে বরুণ কহিলেন “এই দালানে রেলওয়ে যাত্রীরা আসিয়া ট্রেণের জন্য অপেক্ষা করিয়া, থাকে। দালানটি বড় সুন্দর, ইহার উপরিভাগটা দেখ, কেমন নানা বর্ণে চিত্রবিচিত্র করা । ১৮৬২ অব্দ হইতে রেলওয়ের গাড়ী চলিতে আরম্ভ হইয়াছে। এই রেলওয়ের একটি শাখা চিৎপুর ও বাগবাজারের মধ্য দিয়া আরমানী ঘাট পৰ্য্যস্ত গিয়াছে। পূৰ্ব্বে এই আরমানী ঘাটে, ই, আই, রেলওয়ের কলিকাতা ষ্টেশন ছিল। ভাগীরথীতে পোল হওয়া পৰ্য্যস্ত ষ্টেশনটি উঠিয়া গিয়াছে। এক্ষণে এই রেলওয়ে কোম্পানী ষ্টেশনটি ক্রয় করিয়া মালগুদাম করায় কলিকাতার মহাজনদিগের যত মালামাল যাইয়া জমিতেছে, তৎপরে ট্রেনে বোম্বাই হইয়া রেলপথে এখানে আসিতেছে। হাটখোলা প্রভৃতির মধ্য দিয়া যখন গাড়ি আইসে, তখন মহাজনেরা মালামাল তুলিয়া দিয়া থাকে । এখান হইতে বহির্গত হইয়া দেবগণ দেখেন—একটা মাতাল অপরিমিত মষ্ঠ পান করিয়া রাস্তায় পড়িয়া বমি করিতেছে । আর একটা মাতাল নেশায় জ্ঞানশূন্ত হইয়া সেই বমিগুলো লইয়া খাইতেছে। দেবগণ তস্কৃষ্টে “ওয়াক" “ওয়াকৃ” শব্দে অন্যদিকে যাইলেন। পিতামহ কহিলেন “ঐবিষ্ণু! মাতালদের কাণ্ডগুলো দেখে আমি বড় আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতেছি ।" এখান হইতে সকলে ২৪ পরগণার মুদকী আদালত, ছোট আদালত 建管粤