পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন মালোর কাছ হতে চাটি মচ্চ চেয়েছিলেন, কিন্তু সে তা দেয়নি, সেই পাপে যখন আত্তিরে বেঁউতি জাল পাততে যায়, কুমীরে ধরে খেয়েলো।” দেবগণ ইহার পর নগরভ্রমণে বাহির হইলেন এবং কহিলেন, “বরুণ ! ও চূড়াবিহীন মন্দিরটি কাহার ?” বরুণ। গোবিন্দজীর পুরাতন মন্দির । ইহা নগরের মধ্যে সকল মন্দির অপেক্ষ উচ্চ। দিল্লী হইতে ইহার চুড়া দেখা যাইত বলিয়া সম্রাট আওরঙ্গজেব ভাঙ্গিয়া দেন। এক্ষণে বিগ্রহ ওদিকের ঐ নূতন মন্দিরে আছেন। ব্ৰহ্ম । আহা কি অত্যাচার । যবনেরা প্রায় সৰ্ব্বত্রই দৌরাত্ম্য করিয়াছে। যবনেরা আর কিছুদিন ভারতবর্ষে আধিপত্য কল্পে যথার্থই হিন্দুর নাম পৰ্য্যন্ত লোপ পাইত । দেবগণ ইহার দ্বারে • করিয়া ভেট দিয়া বাটির মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, গোবিন্দজী রাধা ও ললিতার সহিত মন্দিরে বিরাজ করিতেছেন । ইনি দিবসের এক-এক ভাগে এক-এক বেশে স্থসজ্জিত হন। বংশীটী সকল সময়েই হাতে থাকে । বরুণ। এই মূৰ্ত্তি মামুদের ভয়ে গর্তের মধ্যে লুকায়িত ছিলেন। বলরাম আচাৰ্য্য বাহির করেন । পরিশেষে অনেক উপদ্রব সহ করিয়াও আওরঙ্গজেবের ভয়ে দ্বারকায় পলান। তথায় অদ্যাপি দ্বারকানাথ নামে বিগ্রহ আছেন। তাহার মন্দিরকে মানমন্দির কহে। উহা পৃথিবীর মধ্যে বৃহৎ ও বিখ্যাত। গোবিন্দজী অদ্যাপি জয়পুরের মহারাজের তত্ত্বাবধানে আছেন। শ্ৰীকৃষ্ণ অত্যন্ত মাখন ভালবাসিতেন, এমন কি সময়ে সময়ে বেসালি হইতে চুরি করিয়া খাইতেন বলিয়া ইহার সেবায় অধিক পরিমাণে মাখন দেওয়া হয়। ইনি যদুবংশের পূর্বপুরুষ বলিয়া রাজপুতেরা অত্যন্ত ভক্তি করে। জয়পুরের রাজা ইহার সেবার জন্য বৃন্দাবনের এক-তৃতীয়াংশ দান করিয়াছেন । ইহার ভক্তেরা বৈরাগী । ইন্দ্র। বৈরাগীরা কি প্রকার ? বরুণ। উহাদের মাথা ওলের স্থায় কামান, মধ্যস্থলে তরমুজের বোটার স্থায় চৈতন, হাতে কুড়োঙ্গালি এবং সৰ্ব্বাঙ্গে হরিনামের তিলক, পরিধান কোঁপীন, গলায় হরিনামের মালা । বলিতে বলিতে সেই স্থান দিয়া কতকগুলি বৈরাগী “জয় রাধা” শব্দ করিয়া চলিয়া গেল। দেবগণ তাহাদিগকে দেখিয়া হাস্ত করিতে লাগিলেন । ক্রমে সন্ধ্যা হইল। দেবগণ আর নগরভ্রমণে বাহির হইলেন না ।