পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বাড়ী ও রাস্তাঘাটে চালিত হয় । এই গ্যাস নারিকেলডাঙ্গল নামক স্থানে পাথুরে কয়লা হইতে প্রস্তুত হুইয়া এই স্থানে আইসে ; তৎপরে কলের দ্বারা পরিষ্কার হয়। ব্ৰহ্ম । ইংরাজ-ক্ষমতাকে শত শত ধন্যবাদ । যে জাতি জল ও বাষ্পকে ক্ষমতামত চালাইতে পারে, তাহার অসাধ্য কাজ কিছুই নাই । এখান হইতে একস্থানে যাইয়া দেখেন—অস্তি আস্ত গরু টাঙ্গান রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন “এই স্থানের নাম, খালাসীটোলা । মেছুয়াবাজার রোড এই স্থান হইতে আরম্ভ হইয়াছে। মুসলমান ও কাফ্রি প্রভৃতি দুৰ্ব্বত্ত খালাসীরা এই স্থানে বাস করায় নাম খালাসীটোলা হইয়াছে । সন্ধ্যার সময় এখান দিয়া গমনাগমন করা দুঃসাধ্য ।” এখান হইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া বরুণ নারায়ণ ও দেবরাজকে গোপনে কহিলেন, “এই স্থানের নাম সিন্দুর্পেট । ইহা চিৎপুর রোডের একটা শাখা মাত্র। এখানে ২৪ পয়সা মূল্যের সস্তা বেতারা বাস করে । সন্ধ্যার সময় এই পাপিষ্ঠীরা দলবদ্ধ হইয়া রাস্তায় দাড়াইয়া থাকে এবং কোন ব্যক্তি রাস্ত দিয়া যাইলে “ও মানুষ” “ও মানুষ" শব্দে চীৎকার করিয়া ডাকে । ভদ্র লোকেরা মান সন্ত্রমের ভয়ে পলায়, নষ্ট লোকেরা হাস্ত করিয়া নিকটে যায় এবং যখন দেখে, মাগীগুলো ছুটিয়া আসিয়া “আমার বাড়ী চল” “আমার বাড়ী চল” বলিয়া টানাটানি আরম্ভ করে, সেই সময় হাসতে হাতে জিজ্ঞাসা করে, "বলি, রামভদ্রগুড়ে তোমার ঘরে নাই ত?” অমনি মাগীগুলো তাহার হাত ছাড়িয়া দিয়া যা মুখে আসে তাই বলিয়া গালি দেয় ।” নারা । এর কারণ কি ? বরুণ। এই স্থানের বেশুদিগের মধ্যে একজনের, রামভদ্রপুড়োর নাম করায় পসার হয় নাই বলিয়া কোন বেশ্বা ঐ নাম উচ্চারণ কিংবা শ্রবণ করে না। . ব্ৰহ্মা । বরুণ ! বাসায়ু চল ; সন্ধ্যাও প্রায় হ’ল এবং আমার শরীরটাও ভাল নহে, আজ আর নগর ভ্রমণে আবশ্বক নাই । বরুণ তৎশ্রবণে পিতামহকে একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া উপকে সঙ্গে দিয়া কহিলেন, “আপনি বাসায় স্বান, আমরা ৪৫ মিনিট পরে যাইতেছি।” পিতামহ চলিয়া যাইলে তিন জনে মেছুয়াবাজারের মধ্যে প্রবেশ করিয়া ●む**