পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪৩

কলিকাত{ দেখেন—অদ্ভুত ব্যাপার । রাস্তার দুই ধারে বেখ্যালয় । বেশুগণ নানা বেশে বিভূষিত হইয় বারাণ্ডায় বসিয়া ফরসীতে তামাক খাইতেছে, নিয়ে মালীর নানাপ্রকার সুগন্ধি পুষ্পের মালা, গুড়গুড়ি, আড়ানি, পাখা প্রভৃতি প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করিয়া বেড়াইতেছে। রাস্তার ধারে ধারে আতর, গোলাপ, ফুলল তৈল বিক্রয় হইতেছে। মধ্যে মধ্যে মদের দোকানের সম্মুখের ফুলরি, চিঙ্গড়ি, তপী, ইলিশ মাচ ভাজা, পাঠা ও হাসের ডিম সিদ্ধ, আলুর দম, পেয়াজ দিয়ে তেলে ভাজা ছোলা সাজান রহিয়াছে। মধ্যে মধ্যে দুই একখানি মিঠায়ের দোকানও আছে । লম্পটের কোন বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিতেছে এবং কোন বাড়ী হইতে প্রত্যাগমন করিতেছে । বেখ্যাগণ বারাণ্ডায় বসিয়া লোক ডাকিতেছে —না যাইলে গালি দিতেছে এবং স্থবিধা পাইলে থুতু দিতে ছাড়িতেছে না। কতকগুলো বালক মাথায় ফেটী বাধিয়া দুই একটা বাটতে প্রবেশ করিবার উদ্যোগ করিতেছে ; কিন্তু নূতন বলিয়া সাহস হইতেছে না, আবার ফিরিয়া আসিতেছে । নারা । বরুণ । ঐ ছেলেগুলো কি মাগীদের ছেলে ? বরুণ । না, না, উহার ফেরারী বালক । এক্ষণে উৎসন্ন যাইবার পথে পদার্পণ করিবার চেষ্টা করিতেছে । এই সময় সন্ধ্যা হওয়ায় স্থানটীর শ্রী ফিরিয়া গেল । এখানকার লোকগুলো অার যেন নিরানন্দ কাহাকে বলে জানে না। স্বর্গ ও নরক অাছে কি না, তাহাও তাঁহাদের স্মরণ নাই। পাপ পুণ্য কাহাকে বলে, সে বোধ দূরে পলাইল । সকলেই বেগুণ ও মদে মজিল । নারা । বরুণ ! ঐ সমস্ত মাছভাজা, পাঠা, ইসের ডিম খায় কারা ? বরুণ। ব্রাহ্মণ, বৈশ্ব ও শূত্র ; যে বেশ্বা-বাড়ী যায় সেই খায়। মদের মুখে ঐ সমস্ত দ্রব্যই উপাদেয়। বেশ্বাসক্ত ব্যক্তিদিগকে মদ্যপান ও সৎসঙ্গে জাতি, মান, বিষয়, বিভব সকলই বিসর্জন করিতে হয়। এই সময় প্রত্যেক বেশ্বা-বাড়ীতে তবলার চাটি সহ সঙ্গীত আরম্ভ হইল । কোন বেগুণ গান ধরিল : ঐ আসছে বেদিনী রূপসী । আড়নয়নে মুচকে হাসি প্রাণ করে খুলী, তাহে দাতেতে মিশি । অপর বাড়ীতে গান ধরিল ঃ– 镜续减