পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন আবার কি বসন্ত এল । অসময়ে ফুটলো কুসুম, সৌরভে প্রাণ, ( যাদু আমার ) সৌরভে প্রাণ আকুল হ’ল । কোন স্থানে গান ধ'রেছে – আমি রাজবালা, কি ছার বিচার ক'রে সন্ন্যাসিনী হব । তুমি দেখায়েছ যারে, আমি লো বরিব তারে, যদ্যপি না মিলাও তারে, প্রাণে মরিব । দেবগণ দেখেন-চতুর্দিক হইতে ধনী লম্পটদিগের ফেটিং, জুড়ি আসিতে আরম্ভ হইয়াছে । গাড়ীস্থিত বাবুদিগকে দেখিয়া দুই একটা লম্পট এমন ভাবে লুকাইতেছে যেন কোন রাজা ওমরাহের নাতি, কলিকাতার সকলেই ইহাদের চেনে, গাড়ীস্থিত বাবুরা দেখিলে লজ্জা পাইতে হইবে—যেহেতু ইহারা পদব্রজে এসেছে । & - ইন্দ্র । বরুণ ! এগুলোর লুকাইবার ঢং দেখ ! এরা কারা ? বরুণ । ইহার ৮ টাকা বেতনের কেরাণীর দল । ইহার পোষাক ভাড়া করিয়া এমন বাবু সাজিয়া আসে যে, দেখিলে বোধ হয় কোন বড় লোকের সস্তান । ইহাদের বাড়ীর অবস্থা এমনি যে, মা কার্টুন না কাটুলে হাড়ি ঠন ঠন করে । কিন্তু ইহাদের এমনি গুণ, মাতার নিকট কাটুনা কাটা পয়সা নিয়ে ভাড় হাতে ক’রে তেল কিনে প্রত্যাগমনসময়ে সম্মুখে যদি কোন বেশ্বাকে দেখে, তৎক্ষণাৎ দূরে ফেলিয়া দেয় ; কারণ পাছে ঐ বেশ্ব বলে “তুমি তেজচন্দ্র রাহাদুরের নাতি হয়ে তেল কিস্তে এসেছ ।” শেষে হতভাগ্যের বাট গিয়া মাতার নিকট বকুনী খেয়ে মরে । এই সময় দেবগণ দেখেন—চারি ঘোড়ার গাড়ী করিয়া একজন সম্রাস্ত মুসলমান আসিল এবং গাড়ী ধীরে ধীরে চালাইয়া কোন বাড়ীতে প্রবেশ করিবে দেখিতে লাগিল । নারা । বরুণ ! বেখ্যারা কি জাতি-বিচার করে না ? বরুণ । বেশ্বাদের আবার জাতি ! ওদের রুধির নিয়েই কথা, জাতিবিচারের কোন প্রয়োজন হয় না । t নারা । বরুণ ! ওদিকের ও বাড়ীতে নহবৎ বাজিতেছে, বরেণ্ডায় আলো জলিতেছে, নিশান উড়িতেছে ও বিস্তর গাড়ী পাৰি আসিতেছে কেন ? বরুণ। উহা একটা খোট্টা বেখার বাড়ী। কোন বেটা বুঝি ভৰ্ত্তি হইল, তাই সমারোহ হইতেছে।