পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ইন্দ্র । বেশ্বাবাড়ী আবার ভৰ্ত্তি কি ? ' - বরুণ । খোট্ট বেঙ্গাদিগের নিয়ম—একটি উপপতি ছাড়িয়া যাইলে বিস্তর বাবু উপপতি হইবার জন্য উমেদারি করে। উহার সেই সময়ে একটা ফৰ্দ্দ দিয়া কহে, “এত টাকা যিনি প্রথমে খরচ করিবেন, তাহাকে উপপতিত্বে গ্রহণ করা হুইবে ।" এই সময় পাঁচ সাত শত টাকার ফর্দ দেখিয়া অনেকে পলায় । যে সেই খরচ বহন করিতে পারে, তাহাকেই গ্রহণ করে এইরূপ করার মানে— বেখা—এই উপলক্ষেই বাবু দাতা কি কৃপণ হইবে পরীক্ষা করিয়া লয় এবং বাবুকে সৰ্ব্বস্বাস্ত করিয়া নিজের উদর পূর্ণ করে। দেবগণ দেখেন— যত অন্ধকার হইতেছে, স্থানটা ততই গুলজার হইতেছে। কোন দোকানী স্বর করিয়া স্থাকিতেছে--"চানাচুর কড়কেদার, কড়া কোড়ি বোলে ।” কেহ বলিতেছে—“মজাদার নকোলদানা, এই বেলা নে আর পাবি না।” মধ্যে মধ্যে শব্দ হইতেছে-ক্ষীবের ছাঁচ, ক্ষীবের মাচ, ক্ষীবের আঁচ, ক্ষীরপুলি চাই।” দুরে শব্দ হইতেছে “বরফ”—“চাই বেল ফুল ।” এ দিকে রামকৃষ্ণ তড়ির দোকানের কাছে দাড়াইয়া একটা বেশ্বা মদ দিতে কহিতেছে । রামকৃষ্ণ একটা ছেলের হাতে বোতল দিয়া বেশ্যার সহিত পাঠাইয়া দিতেছে। সম্মুখের দোকানী বেঙ্গাকে লক্ষ্য করিয়া চীৎকার করিতেছে “তপী মাছ” “ইলিশ মাছ (” কোন দোকানে মদের বোতল বগলে করিয়া একজন লম্পট শালপাতার ঠোঙ্গয় মাছভাজ, ফুলুরি, ডিম সিদ্ধ কিনিতেছে। দূরে ইকিতেছে “গোলাপী খিলি ।” বরুণ কহিলেন, “এস্থানের বাইওয়ালির মধ্যে ইলাহি জান এবং খেম্ট-ওয়ালীর মধ্যে হরিদাসী ও কামিনী বিখ্যাত।” -দেবগণ এখান হইতে বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে দেখেন—একটী ঘরে কতকগুলো ছেলে দাড়াইয়া আছে। নারায়ণ কহিলেন, “আমাদের উপর মত কে দাড়াইয়া ?” বরুণ। উপই বটে, এটা ফুলবাবু সাজিবার আড্ডা। উপ বোধ হয় এয়ারদের সঙ্গে ফুলবাবু সাজিতে আসিয়াছে। ইন্দ্র। ফুলবাবু সাজিবার আড্ডা কি ? বরুণ । এই স্থানে দুটা করিয়া পয়সা দিলে বেশ ক’রে ব্রস দিয়া চুল ফিরাইয়া দেয় এবং মাথায় একটু গন্ধদ্রব্য দিয়া গোপে ও ভ্রতে অতির মাখাইয়া দেয় ওঁ বিদায়কালে হাতে একটী গোলাপী খিলী ও পকেটে একটা গোলাপ ফুল গুজিয়া দেয় “ . . . - لاونة