দেবগণের মর্ত্যে আগমন
- হতভাগা ছেলে মরেছে * বলিয়া নারায়ণ “উপ” “উপ” শব্দে ভাকিতে লাগিলেন। উপ’র এই সময় ফুলবাবু সাজা শেষ হইয়াছিল। যাই” বলিয়া, বাহিরে অসিয়া কহিল, “আমি স্ব-ইচ্ছায় আসিনি, ওরা আমাকে জেদ ক’রে এনেছিল ।”
ইন্দ্র। “বেশ সেজেছিস, এখন বাসায় চল* বলিয়া দেবগণ উপ’কে সঙ্গে লইয়া বাসায় গিয়া সকলে দেখেন, পিতামহ শয়ন করিয়া আছেন। জিজ্ঞাসা করিলে কছিলেন, “তুইখান। গরম জিলেপী খেয়ে একটু ভাল আছি।” দেবগণ হস্তপদ প্রক্ষালন করিয়া বসিয়া গল্প করিতেছেন, এমন সময় সঙ্গীতধ্বনি র্তাহীদের কর্ণে আসিল । দেবরাজ কহিলেন, “নিকটে কোথায় গান হইতেছে ?” বরুণ। বোধ হয় বারইয়ারিতলায় বারইয়ারি পূজা আরম্ভ হওয়ায় পাচলি হইতেছে। নারা । বারইয়ারিতলা এখান হইতে কত দূর ? বরুণ । কেন, সেই যে, সে দিন কথকতা শুনে এসেছ । ব্ৰহ্মা । সে স্থান ত নিকট । বরুণ ! আমি কখনও পাচলি শুনি নাই— নিয়ে চল না । - এই সময় দেবগণ দেখেন, একটা বাবু দিব্য সাজ পোষাক করিয়া রাস্তা দিয়া কোথায় যাইতেছে। তাহাকে দেখিয়া একপাল বাবু নিকটে আসিয়া কহিল, “তুমি ভাই কোথায় যাচ্চ ?” বাবু কহিলেন, “আমি নিমন্ত্রণ খেতে যাচ্চি, যাবে?” হানি কি বলিয়া সেই সমস্ত বাবুর দল তাহার সঙ্গে সঙ্গে চলিল । নারা । বরুণ ! এ কি ! এক জনের নিমন্ত্রণে এরা যে সকলেই চলিল ? বরুণ । ইহারা সকলেই পাড়াগেয়ে, অল্প বেতনের কেরাণী । এখানে কৰ্ম্ম করে, একখানি সামান্ত খোলার ঘরে আট দশ আনা ভাড়া দিয়া বাসা লয়। প্রত্যহ নিজে নিজে হাত না পোড়াইয়া এক দিন রোধে তিন দিন খায় । যে বেতন পায়, পরিবার নিকটে রাখিলে চলে না, এজন্য মাসে দুই একবার বাড়ী যায় ও প্রত্যাগমন সময় বিশমুণে ব্যাগে কাচকল কচু ও লাউ বোঝাই করিয়া আনিয়া সেই গুলো বেশ খায়। প্রত্যহ হাত পোড়াইয়া খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত ও অরুচি হইবার উপক্রম হইলে যদি কোন স্থানে রেখে ৫ •৬৩ জন । লোক খাইতেছে, বিনা নিমন্ত্রণে যাইয়া পাত পাতিয়া বসে । &૭૨
