পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ইন্দ্র। গৃহস্বামী বিদায় ক’রে দেয় না ? বরুণ । ভদ্রলোক, খাসা গোপ, গলায় ঘড়ীর চেন, সুতরাং বিদায় করিতে চক্ষুলজ্জা হয়। ফলতঃ এই কৰ্ত্তাদের গুণে সহরে খাওয়ান-দাওয়ান সত্বরেই লোপ হইবে । কারণ, সময়ে সময়ে এমন ঘটনাও ঘটেছে, কোন মধ্যবিত্ত অবস্থার লোক পুত্রের অন্নপ্রাশন কিংবা উপনয়ন উপলক্ষে একশত বা দেড়শত লোকের নিমন্ত্রণ করিয়া এই শ্রেণীর ১০১২ শত ভদ্র কাঙ্গালী না খাওয়াইয়া নিস্তার পান না । কি করেন, পরিবারের গহনা বিক্রয় করিয়া দায় হইতে উদ্ধার হন । নারা । হঠাৎ এত লোকের আয়োজন হয় ? বরুণ । কলিকাতা সহরে পয়সা দিলে এক ঘণ্টায় এক হাজার লোকের খাওয়ান'র জোগাড় হয়। যাহা হউক, একবার ফুটা বাবু বিনা নিমন্ত্রণে যাইয়। বড় জবা হইয়াছিলেন । ইন্দ্র। সে কিরূপ? বরুণ। ঐ বাবুদের এক বন্ধু ছিলেন, তিনি কলুর বামুন ; কিন্তু তাহা তাহারা জানিতেন না। এক দিন কলুর বামুন বাবু, যজমানের বাড়ীতে বিবাহের নিমন্ত্রণ খাইতে যাইতেছেন, এমন সময়ে ঐ বাবু দুটা তাহার পেছু নিলেন। সকলে মজলিসে যাইয়া স্থান নিলে বাবুরা কলুর বামুন বাবুকে কহিলেন, “যেমন ব’লে আস নাই, কেমন গোপনে গোপনে এসে ধ’রেছি!” কলুর বামুন মনে মনে ভাবিলেন—অভাগার বেটারা মরেছে, এ কলুর বাড়ী তা ত জান না । এই সময় বাড়ীর কৰ্ত্ত কলু একবাট সর্ষের তৈল লইয়া বাবুদের নিকট আসিয়া কছিল, “মহাশয়ের পায়ের মোজা খুলুন—তৈল দিয়ে দিই।" বাবুরা তৎপ্রবণে আশ্চর্যাম্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি ?” কলু কহিল, “আজ্ঞে, কলুর বাড়ীতে ব্রাহ্মণ আসিলে পায়ে তেল দিয়ে দেয়, একি আপনারা জানেন না ? নচেৎ এত তেল সন্তা কাদের ঘরে ?” বাবুর তৎপ্রবণে পায়ের ষ্টকিং খুলিয়া তৈল মাখাইয়া লইয়া, ছল করিয়া একে একে সরিয়া পড়িলেন । সেই অবধি নাকে কানে খত দিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন—চির দিন হাত পুড়িয়ে খেয়ে অরুচি জন্মে সেও ভাল, তথাপি আর বিনা নিমন্ত্রণে মূখ বদলাইতে যাইব না। সকলকে লইয়া বরুণ বারইয়ারিতলার অভিমুখে চলিলেন। দেবগণ উপস্থিত হইয়া দেখেন, লোকে লোকারণ্য। একখানি গৃহে বিন্ধ্যবাসিনী శ్రీశ్రీgNడి