পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা বৰ্দ্ধমানের অন্তঃপাতী কাটোয়ার অতি সন্নিকটস্থ বাদস্থড় নামক গ্রামে ইহার পৈতৃক বাস। দাশরথি বাল্যকালে পীলা নামক গ্রামে মাতুলালয়ে বাস করিতেন । তিনি যৎসামান্ত ইংরাজী ও বাঙ্গালা শিক্ষা করিয়া প্রথমে একটী নীলকুঠিতে কেরাণীগিরি কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন । তৎপরে কিছুদিন কবির দলে গান বাধিয়া দিতে দিতে নিজে একটি পাঁচালীর দল কবিয়াছিলেন। সেই পাঁচালী হইতেই দাশুরায়ের নাম দেশব্যাপী হইয়া পড়ে । ইনি যে সমস্ত পালা ও গীত বাধিয়াছিলেন, তৎসমস্ত পাচ খণ্ড পাঁচালী নাম দিয়া বটতলা হইতে পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইয়াছে। ঐ পাঁচ খণ্ড পাঁচালী ভিন্ন ইনি মৃত্যুর পূৰ্ব্বে আরো অনেক পালা ও গান বধিয়াছিলেন, তাহা নিজেও গাইতে পারেন নাই। ১৬৭৯ শকে ( ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে ) ইহঁর মৃত্যু হয়। ইহঁর পুত্র-সন্তান ছিল না, একটা মাত্র কন্যা ছিল। দাশুরায়ের মৃত্যুর পর তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনকড়ি রায় কিছুকাল দল রাখিয়াছিলেন। এক্ষণে সকলেই গত হওয়ায় ঐ বংশে দল রাখিবার কেহ নাই। দাশুরায়ের প্রণীত ছড়া ও গীতে কবিত্বের অনেক পরিচয় পাওয়া যায় । মধ্যে মধ্যে করুণ ও হাস্তরসের ছড়া যথেষ্ট অাছে। এক সময় এই পাঁচালী লোকের দ্বারে দ্বারে প্রতিধ্বনিত হইয়াছিল। অদ্যপি বঙ্গদেশে দাশুরায়ের কোন না কোন গান জানে না এমন লোক বিরল । রামপ্রসাদী সুরের ন্যায় দীশুরায়ের সুর সরল ও সুমিষ্ট । এজন্য অনেকেই উহা সখ, করিয়া গাইয়া থাকে । কি ইতর কি ভদ্র, সকলেই এই গানের পক্ষপাতী। ইহঁার প্রণীত ছড়াগুলীতে পয়ারের ন্যায়ু অক্ষর স্থির নাই । ইহঁর প্রণীত খেউড় সকল অতি জঘন্য ও অশ্লীল ; উহা পাঠ করিলে দাশুরায়ের প্রতি অভক্তি হয় । দেবগণ পাঁচালী শুনিয়া বাসায় যাইয়া শয়ন করিলেন এবং অধিক রাত্রি জাগরণ হওয়ায় সকলে অকাতরে নিদ্রা যাইতে লাগিলেন । অনেক রাত্রি জাগরণ করায় দেবগণের উঠিতে কিছু বিলম্ব হইল । তাহারা উঠিয়া মুখ হাত ধৌত করিলে বরুণ কহিলেন, “ঠাকুরদা, কাল সমস্ত রাত্রি খক্‌ খক্‌ করিয়া কাসিয়াছেন, আজও স্বান বন্ধ থাক ।” দেৱরাজ কছিলেন, “না—ঙ্কাচ পাকা জলে স্নান করান যাক। তাহাতে কেমন থাকেন দেখিয়া রজনীতে তেজপাত কন্ধেয় সাজিয়া থাইতে দেওয়া যাইবে।” ব্ৰহ্মা । ভাই ! আমার শরীরে যখন ব্যাধি দেখা দিতেছে, তখন নিঃসন্দেহ পাপ প্রবেশ করিয়াছে । আমার মতে আর মর্ত্যে থাকিবার む芝な