পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন তাহারা বাসায় বসিয়া অনেক সুখ-দুঃখের কথা আরম্ভ করিলেন । এই সময়ে পদ্মযোনি আফিংয়ের কোঁটা বাহির করিয়া তাহ হইতে কিঞ্চিম্মাত্র লইয়া হাই দিয়া নরম করিয়া গুলি পাকাইতে পাকাইতে কহিলেন, “পাটনায় শুনেছি আফিং সস্তা, যেখান হতে কিছু কিনে নিতে হবে” বলিয়া টাকুরায় ফেলিয়া দিয়া ক্টোত করে গিলে ফেলেলন এবং কহিলেন, “দেখ কৃষ্ণ ! এত দুধ খাচ্চি, কিন্তু মঙ্গলার (ব্রহ্মার গাই-গরুর নাম ) দুধের মত মিষ্ট লাগে না । আজকাল সে আড়াই সের করে দুধ দিচ্চে ।” নারা । আমাকে যে একটা বাছুর দেবেন বলেছিলেন ? ব্ৰহ্মা । হা, দেব—কিন্তু এবার নয়, এবারকারটা ভরণীকে দিতে হবে, সে অনেক দিন পর্য্যন্ত চাচ্চে । ক্রমে নানা কথায় রাত কাটিল। প্রাতে উঠিয়া দেখেন, একটি দুঃখিনী বাঙ্গালী-রমণী আসিয়া তাহাদের ঘর-দ্বার পরিষ্কার করিয়া দিতেছে । পিতামহ তাহাকে দেখিয়া কহিলেন, “ম, তুমি কে ? আর কি কারণেই বা আমাদের ঘর-দ্বার পরিষ্কার করিয়া দিতেছ ?” স্ত্রীলোক । বাবা, আমি দুঃখিনী বঙ্গ রমণী। একসময় আমার স্বামী, পুত্র, বিষয়, বিভব সকলই ছিল; কিন্তু বিধাতা আমার সহিত বাদ সাধিল ; স্বামী-পুত্র সব হারালাম, জ্ঞাতিতে বিষয় কাড়িয়া লইল । এক্ষণে আমি বৃন্দাবনে বাস করিতেছি । যেকোন ভদ্রলোক এখানে তীর্থদর্শনে আসেন, র্তাহার কাজকৰ্ম্ম করিয়া দিই এবং তাহারা স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক যা দুই-এক পয়সা দেন, তাহাতেই জীবিকা নিববর্ণহ করি । এই সময় একজন বাবাজী উচ্চৈঃস্বরে কাদিতে কঁাদিতে আসিয়া দেবগণের কুঞ্জস্বামী বাবাজীকে কহিল,—“বাবাজী ! শীঘ্র উঠে বাহিরে এস, আমার সব্বনাশ হয়েছে!” চৈতন্যদাস বাবাজী তংশ্রবণে বাহিরে আসিয়া সবিস্ময়ে কহিল, “কি হয়েছে ?” ১ম । কলিকাতা হইতে কতকগুলো ছোড়া যাত্রী এসেছিল জান ? २घ्न । छॉनि । ১ম । (ক্ৰন্দন করিয়া) আমার ছোট সেবাদাসীকে নিয়ে পালিয়েছে। ২য় । গোবিন্দ | এখন করতে হবে কি ?

  • }