পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন শাস্তিপাহারা । বাড়ীটির সম্মুখ লৌহ বেলিং দ্বারা পরিবেষ্টন করা। তন্মধ্যে নানাপ্রকার বৃক্ষ এবং অসংখ্য টবে পুষ্পবৃক্ষসকল শোভা পাইতেছে। দেবগণ ফটক দিয়া উদ্যানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, স্থানে স্থানে নানা প্রকার পশু পক্ষী বিচরণ করিতেছে। ইন্দ্র। বরুণ ! এ বাড়ীটি কাহার ? বাড়ীটি কলিকাতার মধ্যে স্বন্দর বলিয়া বোধ হইতেছে । বরুণ। বাড়ীটি রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্লিকের । ইহার বাড়ীর প্রতি অত্যন্ত সখ, থাকায় বৎসর বৎসর মেরামত ও নূতন নূতন ফ্যাসানে সুসজ্জিত করেন । ইন্দ্র ৷ বাটীর ভিতরে প্রবেশমুমতি আছে ? “চল না” বলিয়া বরুণ সকলকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন । ভিতরে যাইয়া দেখেন--বাড়ীটি বড়ই সুন্দর। উঠানটী মার্কেল প্রস্তর দ্বারা বাধান । মধ্যস্থলে মৃত্য গীতের স্থান। নিয়ে ও উপরে স্বন্দর বারাও সকল বিরাজ করিতেছে । নীচের বারাণ্ডার এক স্থানে কতকগুলো ছবি রহিয়াছে। দেবগণ পূজার দালানটা দেখিয়া অত্যন্ত আহলাদ প্রকাশ করিতে লাগিলেন ; দালানটী অতি বৃহৎ অথচ এক ফুকুরে। ঐ ফুকুরের উপরিস্থ খিলানট এত বৃহৎ যে সাত ফোকর ভষ্মধ্য দিয়া গমনাগমন করিতে পারে। এখান হইতে সকলে বৈঠকখানা দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন। বৈঠকখানাট এমন স্বন্দর সাজান যে, দেবগণ কহিলেন, “আমরা এরূপ কখন চক্ষে দেখি নাই ।” গৃহটী বহুমূল্য দ্রব্যাদির দ্বারা পরিপূর্ণ করা বুহিয়াছে এবং সোণা, রূপ। হীরার বৃক্ষসকল বিরাজ করিতেছে। বরুণ কহিলেন “ইনি দুর্ভিক্ষের সময় দীন দুঃখী দিগকে অকাতরে অন্ন দান করায় রায় বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন। তৎপরে মাম্রাজ দুর্ভিক্ষে কয়েক লক্ষ টাকা সাহায্য করায় রাজা বাহাদুর উপাধি পাইয়াছেন, তদবধি দ্বারে শান্তি পাহারা বসিয়াছে। অন্যাবধি ইহার বাটতে প্রত্যহ সহস্ৰ কাঙ্গালীকে অন্ন দেওয়া হইয়া থাকে । ব্ৰহ্মা। বরুণ, এই বংশের বিষয় বল। বরুণ। ইহার কলিকাতার বহুদিনের অধিবাসী। জাতিতে স্ববর্ণবণিক। এই বংশের যাদবচন্দ্র শীল নবাব সরকার হইতে মল্লিক উপাধি প্রাপ্ত হন। এবং জয়রাম মল্পিক প্রথম আসিয়া কলিকাতায় বাস করেন। রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্পিক এই বংশোদ্ভব। ১৮১৯ সালে ইহার ¢ፃፀ