পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ১ম। এখনও বেশী দূর যায় নাই, চল, দলবল নিয়ে ছিনিয়ে আনি। ২য় । গোবিদের ইচ্ছা যাহা তা ঘটিয়াছে, আমি ত আর যাইবার আবশ্বক দেখি না । প্রথম তৎপ্রবণে নিরস্ত হইল বটে, কিন্তু ছোট সেবাদাসীর রূপ, গুণ ও বয়স যত মনে হইতে লাগিল তত ক্রনন করিয়া মাটি ভিজাইতে লাগিল । দেবগণ যমুনাতে স্নান করিয়া নগরভ্রমণে চলিলেন । চৈতন্যদাস বাবাজীর সেবাদাসীর দলও ভিক্ষায় বাহির হইল । ব্ৰহ্মা। বৃন্দাবনে এত মন্দির কাহার ? বরুণ। এখানে জয়পুর, সিন্ধিয়া, হোলকার এবং বৰ্দ্ধমান প্রভৃতি স্থানের মহারাজেরা এবং অনেক জমিদার মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । প্রত্যেক দেবালয়ে একশত টাকা হইতে দশ টাকা পৰ্য্যন্ত প্রাত্যহিক পূজার বরাদ্দ আছে। অনেক যাত্রী এখানে আজীবন প্রসাদ খাইয়া কাটায় । ক্রমে সকলে গোপীনাথের মন্দিরের নিকট যাইয়া দ্বারে ॥• আনা করিয়া ভেট দিয়া বাটির মধ্যে প্রবেশ করিলেন । বরুণ । শ্ৰীকৃষ্ণ গোপীদিগের কর্তা ছিলেন বলিয়া তাহার নাম গোপীনাথ হয় । তিনি যে বেশে গোষ্ঠে যাইয়া কালিন্দীতীরস্থ বনে বনে শ্রীরাধিকার হাত ধরিয়া পরিভ্রমণ করিতেন, এ মন্দিরে সেই প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। কালিন্দীতীরস্থ সেই বন অস্থাপি বর্তমান আছে । দুঃখের বিষয়—বংশী নীরব । দেবতারা গোপীনাথ দেখিয়া কেশি-ঘাটে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । বরুণ। শ্ৰীকৃষ্ণ এই ঘাটে কেশি-নামক দৈত্যকে সংহার করেন বলিয়া ইহার কেশি-ঘাট নাম হইয়াছে । এই ঘাটেই তিনি খেয়া দিতেন ! এজন্য অদ্যাপি একখানি নৌকা ঘাটে বাধা রহিয়াছে। ইন্দ্র । নারায়ণ বৃন্দাবনে জন্মগ্রহণ করে অনেক খেলাই খেলেছেন । বরুণ। ওঁয়ার দোষ নাই, উনি রাখালদের অসংসঙ্গে মিশেই খারাপ হয়ে যান ; নচেৎ ওঁয়ার বুদ্ধিশুদ্ধি বেশ ছিল। এখানকার মত গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয় থাকলে বিলক্ষণ বিদ্যা শিক্ষা করে মথুরায় রাজত্ব করতে পারতেন । যাক, গত বিষয়ের জন্য অস্ত্রতাপ বৃথা। ওদিকে যে ঘাট দেখিতেছেন, ঐ ঘাটে শ্রীকৃষ্ণ বকাস্বরকে বধ করেন, আর এই বৃক্ষটিকে বস্ত্রহরণের বৃক্ষ কহে । ●३