পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৬২

দেবগণের মৰ্ত্তে আগমন ধুলি নিক্ষেপ করে । যখন এ ব্যক্তি চক্ষে ধূলা যাওয়ায় ব্যাগ নামাইয়া চক্ষু রগড়াইতেছিল, সেই সময় সে ব্যাগটা লইয়া অদৃপ্ত হইয়াছে। এ ব্যক্তি পেটে না খেয়ে ২৩ শত টাকা সংস্থান করিয়াছিল এবং সম্প্রতি দেশে একটী কাপড়ের দোকান করিবার অভিপ্রায়ে কলিকাতায় বস্ত্র খরিদ করিতে আসিয়াছিল। ব্ৰহ্মা । কলিকাতা কি সৰ্ব্বনেশে স্থান ! এখানে অসাবধান লোকের পদে পদে বিপদ ঘটিতে পারে। এ লোকটার ভাগ্য ভাল যে, প্রাণ না নিয়ে ব্যাগটা নিয়ে গিয়েছে । আহ । কষ্টের ধন একজন বিনা কষ্টে গ্রহণ করিয়াছে। এখন হইতে যাইয়া তাহার একটি বহুদূর বিস্তৃত তেতালা স্বন্দর বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন, “বকুণ ! এ স্থানের নাম কি এবং এ স্বন্দর বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ । এই স্থানের নাম জোড়ার্সাকে । বাড়ীটি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ. ঠাকুরের । ব্ৰহ্মা ! মহর্ষি ? বরুণ, তুমি আমাকে মহর্ষির বিষয় বল। বরুণ । ইনি স্ববিখ্যাত স্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র । ১৭৯৩ শকে কলিকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । ইনি প্রথমতঃ রাজা রামমোহন রায়ের স্কুলে এবং তৎপরে হিন্দু কলেজে বিদ্যাশিক্ষা করিয়াছিলেন । কলেজ পরিত্যাগের পর ই হার পিতা ইহাকে নিজ প্রতিষ্ঠিত “কার ঠাকুর এও কোম্পানী” এবং “ইউনিয়ন বান্ধ” প্রভৃতি বাণিজ্য কাৰ্য্যালয়ে কার্য শিক্ষার নিমিত্ত নিযুক্ত করেন । এই সময়ে ইনি সঙ্গীত ও সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিতে এবং বাঙ্গালা ভাষায় রচনা করিতে আরম্ভ করেন এবং কিছুদিন পরে বাঙ্গালা ভাষায় এক সংস্কৃত ব্যাকরণ লেখেন। ১৭৫১ শকে ই হার দ্বারায় রামচন্দ্র বিদ্য বাগীশের সাহায্যে তত্ত্ববোধিনী সভা সংস্থাপিত হয় । তত্ত্বজ্ঞান ও ঈশ্বরভজন এই সভার প্রধান উদ্দেশু। রালকদিগকে বাঙ্গালা, সংস্কৃত ও ধৰ্ম্মশিক্ষা দিবার নিমিত্ত ইহা কর্তৃক ১৭৬২ শকে তত্ত্ববোধিনী সভাস্তর্গত তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা স্থাপিত হয় । ১৭৬৩ শকে ইনি ব্রাহ্মসমাজে যোগদান করেন এবং ১৭৬৫ শকে ই হার যত্ন ও ব্যয়ে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রচারিত হয় এবং ঐ শকে ইনি চারিজন পণ্ডিতকে বেদাধ্যয়ন জন্ত কাশীধামে প্রেরণ করেন । তাহারা কাশী হইতে প্রত্যাগমন করিলে ইনি বেদের প্রকৃত তত্ত্ব অনুসন্ধান করিতে যাইয়া দেখেন, বেদ দ্বৈতবাদে পরিপূর্ণ। ইনি অক্ষয়কুমার দত্তের যত্নে বেদকে পবিত্যাগ করেন এবং ব্রাহ্মসমাজ হইতে বৈদিক ধৰ্ম্মকে বিদায় দেন। বেদ বিদায় হইলে ১৭৭২ অব্দে ইনি 4^r