পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের কয়েকটী বীজমন্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থ প্রচার করেন এবং ১৭৭৮ শকে যোগসাধনের জন্ত হিমালয়ে যান। ১৭৮৪ অধো কেশবচন্দ্র সেন আসিয়া ইহার সহিত যোগদান করেন এবং ব্রাহ্মধর্শ্বের উন্নতি করিতে প্রবৃত্ত হন । ইনি নানাস্থান হইতে সংগ্রহ করিয়া এক উপাসনা-প্রণালী সংগঠন করেন এবং তাহা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। ১৮৮২ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিংহল যাত্রা করেন। ১৭৮৩ শকে ইহার অর্থসাহায্যে বাবু মনোমোহন ঘোষ কর্তৃক মিরার পত্র প্রচারিত হয়। মনোমোহন বাবু বিলাত যাত্রা করিলে বাৰু কেশবচন্দ্র সেন ঐ পত্রের সম্পাদক হন। ১৭৮৪ শকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজ দ্বিতীয় পুত্রকে সিবিল সার্বিস পরীক্ষার জন্য বিলাতে প্রেরণ করেন । ১৭৮৫ শকে “ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান" নামক একখানি ক্ষুদ্র গ্রন্থ প্রকাশিত হয় । এই গ্রন্থ বাহির হইলে ইনি উপবীত ত্যাগ করেন এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মমতে নিজ কন্যার বিবাহ দেন। এই সময় ইনি কেশবচন্দ্র সেনকে ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদক এবং প্রতাপচন্দ্র মজুমদারকে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত করিয়াছিলেন । ১৭৮৬ শকে উপবীত পরিত্যাগ লইয়া ব্রাহ্মদিগের মধ্যে বিবাদ হয় এবং কেশব বাবু ভাঙ্গিয়া গিয়া একট দল করেন । মিরার পত্ৰখানি এই সময় তাহার সঙ্গে যাওয়ায় ন্যাসন্তাল পেপার নামক একখানি ইংরাজীপত্রের জন্ম হয়। বাবু নবগোপাল মিত্রের উপর ঐ পত্রের সম্পাদকীয় ভার অর্পিত হয় । দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঐ পত্রের ব্যয়ভার স্বয়ং বহন করেন । ১৮৫১ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষীয় ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন নামক সভা সংস্থাপিত হইলে ইনিই প্রথমতঃ তাহার সম্পাদক নিযুক্ত হন ; কিন্তু অল্প দিন পরেই ঐ পদ পরিত্যাগ করেন । এই সভায় থাকিলে ইনি এতদিন রাজা উপাধি প্রাপ্ত হইতে পারিতেন । কিন্তু ইহার ধর্মের দিকে বেশী মন থাকায় রাজা না হইয়া মহর্ষি উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন । এখান হইতে যাইতে যাইতে একস্থানে উপস্থিত হইয়। পিতামহ কহিলেন। "আহ ! একখানি কালী দেখ, ঘটে শুকুনো ভাব, মার হাত ভাঙ্গা, চক্ষু নাই, ভাঙ্গাঘরে রয়েছেন। সম্মুখে একটা পাটা টাঙ্গন, হালদাররমণী মল পায় দিয়া বসিয়া আছেন। উপ, শীঘ্র প্রণাম কৰু ? বরুণ ! এ ঠাকুর কাহার এবং ঠাকুরের নাম কি ?” বরুণ । ঠাকুর হচ্চে বেগু ও লম্পটের, নাম কসাই কালী। ব্ৰহ্ম । কি-? ¢ ግቕ•