পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন এবং লাট সাহেব পৰ্য্যস্ত নিমন্ত্রণে আসিতেন । ইনি কুস্তিওয়ালা রাধী গোয়ালা, লক্ষ্মীকাস্ত বেহালাচার ও কালোয়াত কালী মির্জাকে বেতন দিয়া রাখিয়াছিলেন । এই মহাত্মা কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি অত্যন্ত সদয় ছিলেন । এমন কি ই হার দেওয়ান গেদলপাড়ার রামমোহন মুখোপাধ্যায়কে এক খানি উচ্চ আয়ের জমীদারী প্রদান করেন—যাহা উক্ত মুখোপাধ্যায়ের পৌত্র গোপালচন্দ্র অদ্যাপি ভোগ করিতেছেন। গোপীমোহন ঠাকুর মূলাযোড়ে দ্বাদশশিবমন্দির ও এক কালীমূৰ্ত্তি স্থাপন করেন । ই হার পাঁচ পুত্ৰ— স্থর্যাকুমার, চন্দ্রকুমার, মন্দকুমার, কালীকুমার, হরকুমার এবং প্রসন্নকুমার । হরকুমার ঠাকুর অত্যন্ত সংস্কৃতজ্ঞ ও হিন্দু ছিলেন । ইনি দক্ষিণাত্য পর্যটন, হরতত্ত্বদীধিতী, পুরশ্চরণ পদ্ধতি প্রভৃতি কয়েকখানি পুস্তক প্রণয়ন করেন । ১৮৫৮ সালে ই হার মৃত্যু হয় । মৃত্যুকালে মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর ও রাজা সৌরেন্দ্রমোহন ঠাকুর নামক দুই পুত্র রাখিয়া যান । ব্ৰহ্মা । আমাকে তুমি যতীন্দ্রমোহনের জীবন বৃত্তান্ত বল । বরুণ। ইনি ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন । ই হার পিতার নাম vহরকুমার ঠাকুর। ইনি প্রথমে হিন্দু কলেজে বিদ্যাভ্যাস করেন ও ছাত্রবৃত্তি প্রাপ্ত হন। কলেজ পরিতাগের পর ইনি প্রায় তিন বৎসর কাল ডি, এল, রিচাডসন সাহেবের নিকট ইংরাজী সাহিত্য শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । ই হার বাল্যকাল হইতেই ইংরাজী ও বাঙ্গালা ভাষা রচনা করিবার ক্ষমতা ছিল । বাল্যকালে ইনি অনেক কবিতা লিখিয়া প্রভাকরে প্রকাশ করিয়াছিলেন । পঠদ্দশাতে ইনি সংস্কৃত শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন । পরে বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর অনেক দিন ঐ ভাষার চর্চা করিয়াছিলেন । সঙ্গীত শাস্ত্রেও ই হার বিলক্ষণ দৃষ্টি ছিল । বেলগেছিয়ার বাগানে প্রথমে বৃত্বাবলী নাটকের অভিনয় কালে ইহ। কর্তৃক দেশীয় কনসার্ট বাদ্যের প্রচলন হয় এবং ইনি নূতন রীতি বাহির করেন । ইনি ১৭১৮ বৎসর বয়ক্রমকালে জমীদারি শাসনের কতক ভার পিতার নিকট হইতে প্রাপ্ত হন। তৎপরে ২৩|২৪ বৎসরে পিতৃবিয়োগ হওয়ায় সমস্ত বিষয়ভার নিজ হস্তে আসে । বিংশতি বৎসর বয়ঃক্রমকালে “স্বভাববর্ণন" নামক একখানি কবিতাগ্রন্থ প্রচার করেন। তদ্ভিন্ন ই হার প্রণীত আরও অনেক পুস্তক আছে। যথা – বিদ্যাম্বন্দর নাটক, যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল, বুঝিলে কি না, উভয় সঙ্কট । সংস্কৃত মালতীমাধব নাটক ইনিই বাঙ্গালাভাষায় অনুবাদ করেন। গীতাভিনয়