পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন ইন্দ্র। দ্বাপরের গাছ এক্ষণেও যেরূপ ছোট, তখন বোধ করি অন্ধুর মাত্র ছিল । ব্ৰহ্মা । গাছটি বেঁটেও হতে পারে। বরুণ। আঞ্জে, আসল গাছটি নাই এটি নকল বৃক্ষ । পয়সা উপার্জনের জন্য পাণ্ডার। এইটিকে আসল বলিয়া যাত্ৰিগণের নিকট হইতে পয়সা লয় । ব্ৰহ্মা। বস্ত্রহরণ কি ? নারায়ণ বরুণকে চক্ষুদ্বারা ইঙ্গিত করিয়া বলিতে বারণ করিলেন। বরুণ। ইনি ঠিক স্নানের সময় এই বৃক্ষে উঠিয়া পাতার মধ্যে লুকাইয়া থাকিতেন, গোপীর। আসিয়া যেমন উলঙ্গ হয়ে ঘাটের ধাপে বস্ত্রগুলি * রাখিয়া জলে নামিত, অক্সি ইনি ধীরে ধীরে নামিয়া সমস্ত কাপড় লইয়া গাছে উঠতেন এবং প্রত্যেক শাখায়ু-প্রশাখায় বস্ত্রগুলি ঝুলাইয়া বংশীধ্বনিপূর্বক নিজের বাহাদুরি জানাইতেন। পরিশেষে মাগীরা অনেক কাকুতি মিনতি করিলে বস্ত্র দিয়ে হাসতে হাসতে ঘরে যেতেন । ওদিকে কালিদহ দেখুন। ঐ ঘাটে শ্রীকৃষ্ণ কালিয়-সপকে নষ্ট করিয়াছিলেন। ঐ যে কদম্বগাছ দেখিতেছেন, উহার নাম কালিকদম্ব । উহারই উপর হইতে তিনি জলে ঝাপ দিয়া সপকে সংহার করেন । এখানে বৎসর বৎসর একটি করিয়া মেলা হয়, সেই সময়ে অনেক যাত্ৰী আসিয়া মেলাতে যোগ দিয়া থাকে । পরে সকলে যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! আপনার স্মরণ থাকিতে পারে, একসময় আপনি শ্রীকৃষ্ণের সহিত কৌতু করিবার অভিপ্রায়ে পক্ষিবেশে আসিয়া এই স্থান হইতে কতকগুলি গরু, বাছুর এবং বালককে হরণ করিয়াছিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ তদর্শনে ঠিক সেইপ্রকার গরু, বাছুর এবং বালক স্বষ্টি করিলে আপনি যাহা যাহা লইয়া যান, সেই সমস্তই প্রত্যুপণ করেন । এই স্থানের নাম তদবধি ব্ৰহ্মকুণ্ড হইয়াছে। এখানে হরহরির মূৰ্ত্তির ন্যায় প্রতিমূৰ্ত্তি আছে, তাহাকে লোকে গোপেশ্বর বলে। বিখ্যাত হরিদাস গোস্বামীর সমাজ ও সমাধিস্থানও এই স্থানে। একসময়ে সম্রাট, আকবর নৌকাযোগে যমুনা দিয়া যাইতে যাইতে গোস্বামীর সঙ্গীত শ্রবণ করিয়া মোহিত হন এবং গুপ্তবেশে যাইয়া আত্মপ্রকাশপূর্বক তাহাকে অনেক টাকা কড়ির

  • অদ্যাপি ব্ৰজবাসিনীর ঐরাপে স্নান কল্পিয় থাকে ।