পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন ঐ কৃষ্ণমূর্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া উহার নামে চল্লিশহাজার টাকা আয়ের বিষয় করিয়া দেন। দেব-সেবার বরাদ প্রত্যহ একশত টাকা। প্রতিদিন এখানে পাচশত লোক প্রসাদ খাইয়া থাকে পনর দিনের বেশী একজনকে আহার দেওয়া হয় না। লালাবাবু স্বয়ং দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া যাহা পাইছেন তাহাই আহার করিতেন। ব্রজমায়ীরা তাহাকে ভিক্ষা দিবার জন্য রুটি প্রস্তুত করিয়া রাখিত । সেই হতে এখানে লালাবাবুর রুটি নামে একপ্রকার রুটির নাম হইয়াছে। ব্ৰহ্মা। আহা! লালাবাৰু কি মহাপুরুষই ছিলেন, তাহার বিষয় আরো বল । বরুণ । শেষ-দশাতে তিনি গোবৰ্দ্ধনগিরির গুহায় বাস করেন। ঐ স্থানেই তাহার মৃত্যু হয়। তথায় লালাবাবুর কুঞ্জ আছে। কুঞ্জের সন্নিকটে তিনি জায়েন-মন্দিরনামক একটি উৎকৃষ্ট মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, মন্দিরের মধ্যে রংজী-নামক প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। এই কথা বলিয়া সকলে নিধুবনদর্শনে গমন করিলেন । নিধুবন উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “একি সেই নিধুবন ? আমরা দোলের সময় মে গান করি— "আজ হোলি খেলবো শ্যাম তোমার সনে । একলা পেয়েছি তোমায় নিধুবনে । এ নিধুবন কি সেই নিধুবন ?" বরুণ। ই ভাই ! এই বনে আসিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ বনফুল তুলে মালা গেঁথে নিজ গলে পরিধান করিয়া কদম্বগাছে উঠে পা দোলাইতে দোলাইতে বংশীধ্বনি করিতেন, অমনি ইঙ্গিত অনুসারে ব্ৰজগোপীরা জল লইবার ছল করিয়া আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাইতেন । এই বনেই তিনি রাধিকাকে রাজা সাজাইয়। স্বয়ং কোটাল সাজেন। ঐ যে পুষ্করিণী দেখিতেছ, উহাকে ললিতা কুও কহে। এই সময়ে কতকগুলি বানর আসিয়া দেবগণের হস্ত হইতে সজোরে গুড়গুড়ির নলগুলি লইয়া নিকটস্থ একটি বটবৃক্ষে উঠিয়া বসিল । পিতামহ “তু” শব্দে কুকুর ডাক ডাকিয়া তাহাদিগকে মারিতে উষ্ঠত হইলে বানরগণ রাগে নলগুলি খণ্ড খণ্ড করিয়া তলায় ফেলিয়া দিয়া দাত খিচাইতে লাগিল । ését