পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন ইনি গবর্ণমেণ্টের পাটনার আফিংয়ের কুঠির দেওয়ান ছিলেন। ঐ কৰ্ম্ম করিয়া রাধামাধব যথেষ্ট বিষয় করেন। ইনি নিমতলার মানের ঘাট ও আনন্দময়ীর মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন । ইহার পাঁচ পুত্র-নবকৃষ্ণ, গোপালকৃষ্ণ, শিবকৃষ্ণ ও তারাকৃষ্ণ । শিবকৃষ্ণ কলিকাতার মধ্যে একজন প্রতাপান্বিত জমীদার ছিলেন । ইনি বেশ ইংরাজী জানিতেন । যখন রাস্ত দিয়া বগী ইকাইয়া যাইতেন, যে সম্মুখে পড়িত চাবুক মারিতেন । ইনি শেষে জালিয়াং মকদ্দমায় ১৪ বৎসরের জন্য দ্বীপান্তরিত হন । যখন খালাস হইয়া দেশে প্রত্যাগমন করেন, পথিমধ্যে র্তাহার মৃত্যু হয়। কিছুদূর যাইয় তাহার একটা বাড়ীর সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । বরুণ। পিতামহ । নিমতলার মথুরমোহন সেনের বাড়ী দেখুন। ইহারা জাতিতে সুবর্ণবণিক । ইহার পিতার নাম জয়মণি সেন । ইনি কলিকাতার মধ্যে বিখ্যাত পোদার ছিলেন ! ইনি প্রকাও বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া গবর্ণমেন্টের বাড়ীর ন্যায় চারিটি গেট প্রস্তুত করান। এক্ষণে এই বাটীর ধ্বংসাবস্থা । বাটীর সংলগ্ন ঠাকুরবাট ও ফুলবাগান অদ্যাপি বর্তমান আছে—যাহাকে মথুর সেনের ফুলবাগান কহে। মৃত্যুকালে ইনি অল্পমাত্র বিষয় রাখিয়া যান । এখান হইতে দেবগণ একটি ঘটে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, *এই ঘাটের নাম নিমতলার ঘাট । ঘাটের এক দিকে স্ত্রী, অপর দিকে পুরুষের স্বান করে, মধ্যস্থল দিয়া ড্রেনে ময়লা নির্গত হয় । দক্ষিণ দিকে দেখুন, নিমতলার মড়াঘাট । এক সময় এই ঘাটে কলে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করিয়াছিল ; কিন্তু স্বপ্রসিদ্ধ রামপোপাল ঘোষের বকৃতার চোটে হইতে পায় নাই । ব্ৰহ্মা । কলে মড়া পোড়ান প্রচলিত হইলে বড় অন্যায় হইত। রামগোপাল ঘোষের বক্তৃতা-শক্তিকে ধন্যবাদ করি। তুমি আমাকে উহার বিষয় কিছু শ্রবণ করাও । বরুণ । ইনি জাতিতে কায়স্থ । ১২২১ সালে কলিকাতায় ই হার জন্ম হয়। পিতার নাম গোৱিন্দচন্দ্র ঘোষ । প্রথমে ইনি সিরবোরণ সাহেবের স্কুলে, পরে হিন্দুস্কুলে বিদ্যা শিক্ষা করেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর একজন ইংরাজ সদাগরের কুঠিতে কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন এবং ক্রমে ক্রমে ঐ সদাগরের মুছদি পর্য্যস্ত হইয়াছিলেন । এই সময় ইনি স্থানে স্থানে বক্তৃত করিয়া সম্বক্তা বলিয়া প্রসিদ্ধ হন এবং সংবাদপত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ের

  • apo