দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইনি ফ্রি ডিবেটিং ক্লবের সভ্যপদ প্রাপ্ত হন। ইহাতে ইংরাজী ভাষায় বস্তৃতা করিবার ক্ষমতা জন্মে। ইহার পর ইনি মিল নামক একজন পাদরি সাহেবের নিকট বাইবেল পাঠ করেন । ১৮৫৫ অব্দে মেট্ৰপলিটন কলেজ সংস্থাপিত হইলে ইনি ঐ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৮৫৬ অব্দ হইতে ইনি ইংরাজী পত্রে লিখিতে আরম্ভ করেন । ১৮৫৭ অস্বে কলেজ পরিত্যাগ করেন এবং ঐ বৎসরেই ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভার সহকারী সম্পাদক এবং ইহার কিছুদিন পরে হিন্দুপেটিয়টের লেখক হন। ১৮৬০ অব্দে ঐ কাগজের সম্পাদক হইয়াছিলেন। ১৮৬৩ অক্টে ইনি অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট ও ১৮৭৬ অব্দে মিউনিসিপ্যাল কমিসনার এবং ১৮৭৭ অব্দে বাঙ্গালার ব্যবস্থাপক সভায় সদস্ত নিযুক্ত হন। ইনি একজন সদ্বক্তা, ১৮৬৭ অব্দের দুর্ভিক্ষসম্বন্ধে ই হার বক্তৃতা, ১৮৭• অব্দের ইনকম ট্যাক্সের বিরুদ্ধে বক্তৃতা এবং বাঙ্গালা ব্যবস্থাপক সভার কতকগুলি বক্তৃতা বিশেষ উৎকৃষ্ট ও গণনীয়। ইনি অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তক লিথিয়াছেন । ১৮৬৬ অব্দে ইনি নব্য বাঙ্গালীদিগের পক্ষসমর্থন করিয়া যে প্রস্তাব লেখেন, তাহা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়াছে। ১৮৫৯ অব্দে ইনি *বিদ্রোহ ও প্রজামগুলী” নাম দিয়া একখানি পুস্তক প্রকাশ করিয়াছেন । ঐ পুস্তকে, এদেশীয়েরা যে রাজভক্তিবিহীন নহে, তাহা স্বন্দবন্ধপে দেখান হইয়াছে। ১৮৬০ অব্দে ইনি নীলের চাষ এবং ১৮৬৫ অবো জলের কল সম্বন্ধে ২১ টা প্রবন্ধ লিখিয়া প্রকাশ করেন । ১৮৭৩ অবো ইহাকে ১৫৪ • শত টাকা বেতনে কলিকাতা মিউনিসিপালিটার সহকারী সভাপতি পদ প্রদানের প্রস্তাব হইলে ইনি ঐ পদ গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া বলেন “কোন বিশেষ কার্য্যে নিযুক্ত হওয়া অপেক্ষ আমি প্রকৃত স্বদেশানুরাগীর ন্যায় দেশের সাধারণ হিতকর কার্ঘ্যে আজীবন নিযুক্ত থাকিতে ইচ্ছা করি।” ই হার মৃত্যুতে দেশের বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে। ব্ৰহ্মা। সাধু সাধু ! ইন্দ্র। দেখ বরুণ! এপ্রকার মহাত্মাদিগের জীবনচরিত শুনিলে মনে বড় আহমাদ হয়, তুমি হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়েরও জীবনচরিত বল । বরুণ। ইনি ১২৩১ সালে ইংরাজী ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি কুলীন ব্রাহ্মণের পুত্র। এজন্য মাতুলালয়ে ইহার জন্ম হয় এবং সেই স্থানেই প্রতিপালিত হন । বাল্যকালে ভবানীপুরের একটা ইংরাজী বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর কোন অফিসে জাট
- \*$ ३