পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা টাকা বেতনে একটী কৰ্ম্ম পান এবং কার্ধ্যদক্ষতাগুণে এক বৎসর পরে ঐ আফিসে এক শত টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়। ক্রমে ইনি মিলিটারি অডিটের সম্মানসূচক পদ পৰ্য্যস্ত প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। “হিন্দু ইণ্টেলিজেন্সর” নামক একখানি সাপ্তাহিক পত্রে ইনি রীতিমত লিখিতেন । কিন্তু সম্পাদকের সহিত বিবিধ কারণে বিবাদ হওয়ায় ঐ পত্রে লেখা বন্ধ করেন। ইহার পর পেটিয়ট পত্রের স্বষ্টি হইলে তাহাতে লিখিতে আরম্ভ করেন । কিন্তু সম্পাদকের ক্ষতি হওয়ায় তিনি কাগজের সত্ব হরিশ বাবুকে বিক্রয় করিয়াছিলেন । হরিশবাবুর যত্নে এই কাগজের যথেষ্ট আয় হয় এবং ইহা দেশবিখ্যাত হইয়া উঠে । সিপাহী বিদ্রোহের সময় যখন রাজপুরুষের সন্দেহ করেন যে, বাঙ্গালীরাও রাজবিদ্রোহী হইয়াছে, তখন শুদ্ধ এই হরিশ বাবুর লেখায় তাহারা জানিতে পারেন যে, বাঙ্গালীর স্তায় রাজভক্ত জাতি দ্বিতীয় নাই । ইনি ভবানীপুরে একটী সভা করিয়াছিলেন। ঐ সভায় কঠিন শাস্ত্ৰ সকলের আন্দোলন হইত। নীলকর সাহেবদিগের অত্যাচার হরিশ বাবুই নিজ পত্রে লিখিয়া গবর্ণমেণ্টের কর্ণগোচর করেন এবং এই উপলক্ষে যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার ও অর্থ ব্যয় করেন । ইনি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভার একজন সভ্য ছিলেন । ইনিই ঐ সভা স্থাপনের প্রধান উদ্যোগী । ভারতবাসীর দুঃখ ইংলণ্ডীয় মহাসভার গোচর করা এই সভার প্রধান উদ্দেশু। ১৩৬৪ সালের ১১ই আষাঢ় ই হার মৃত্যু হয় । নারায়ণ এই সময় কহিলেন, “দেখ বরুণ, আমার শরীর এমন পাণ্ডুবর্ণ হুইল কেন ? মুখ দিয়ে অনবরত জল উঠিতেছে, ইহার কারণ কি ?” বরুণ । তোমার লোপা লাগিয়াছে। লোণ লাগার কথা শুনিয়া দেবগণ শঙ্কিত হইয়া বরুণের মূখের দিকে চাহিতে লাগিলেন । পিতামহ কহিলেন “গ্ন্যা! লোণ লেগেছে ? লোণ লাগা কি ? লোণা লাগাতে প্রাণহানি হয় না ত ?” বরুণ । না—উহাতে কোন ভয় নাই, স্বৰ্গ মিঠে দেশ এবং কলিকত} লোণ দেশ, এজন্যই লোণ লাগিয়াছে। ইন্দ্র । আমারও লোণ লেগেচে, এক্ষণে ইহার ঔষধ কি ? বরুণ । ঔষধ—শীঘ্ৰ পলায়ন কর, নচেৎ যত গ্রীষ্ম বাড়িবে, লোণ লগাও তত বৃদ্ধি হইতে থাকিবে। রক্ষা। বরুণ । তুমি যত সত্বর পার, কলিকাতা দেখাইয়া আমাদিগকে স্বৰ্গে লইয়া চল । やきぐ。