পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন আহারাস্তে নারায়ণ ও দেবরাজ বিমৰ্ষভাবে শয়ন করিলেন দেখিয়া পিতামহ কহিলেন “তোমরা উদ্বিগ্ন হইও না, কোন পীড়া হইলে চিস্তা করিলে রোগের শাস্তি না হইয়া বৃদ্ধি হইবারই সম্ভাবনা । তোমাদের ভয় কি ? স্বর্গে যাইলে ধন্বন্তরি দুই দিনে ভাল করিয়া দিবেন। উপ। দু একখানি বাঙ্গালা পুস্তক পাঠ কৰু শোনা যাক।” উপ তৎপ্রবণে পদ্মিনীর উপাখ্যান পাঠ করিতে আরম্ভ করিলে, পিতামহ কহিলেন, “এ কেতাবখানা লিখছে ভাল, বরুণ এ গ্রন্থকারের নাম কি ?” বরুণ। ই হার নাম রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনি ১৮৪৮ অব্দে কালনার সন্নিহিত বাকুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম রামনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় । রঙ্গলাল বাল্যাবস্থায় মিসনারি স্কুলে বাঙ্গালা শিক্ষা করিয়া হুগলী কলেজে কিছুদিন ইংরাজী শিক্ষা করেন। শারীরিক পীড়া নিবন্ধন বিদ্যালয়ে অধিক পড়াশুনা করিতে পারেন নাই । বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর নিজের যত্নে যথেষ্ট উন্নতি করিয়াছেন। বাল্যকালাবধি ই হার কবিতা রচনায় অনুরাগ ছিল এবং মধ্যে মধ্যে কবিতা লিখিয়া “প্রভাকরে” প্রকাশ করিতেন । ১৮২৫ অবে এডুকেশন গেজেট প্রচারিত হইলে ইনি তাহার সহকারী সম্পাদক হন । ১৮৫৮ অব্দে এই পদ্মিনী উপাখ্যান প্রচার করেন । ইহার কয়েক বৎসর পরে প্রথমে ইনি ইনকম ট্যাক্সের আসেসর, তৎপরে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ প্রাপ্ত হন । ১৮৬২ অব্দে ই হার প্রণীত কৰ্ম্মদেবী এবং ১৮৬৮ অব্দে স্বরস্কন্দরী নামক কাব্য প্রচারিত হয় । ই হার কাব্যগুলি ইতিহাসমূলক । এই সকল গ্রন্থ ভিন্ন ইনি “বাঙ্গলা কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধ” ও “শরীরসাধিনী বিদ্যার গুণকীৰ্ত্তন” নামক আর দুইখানি পদ্য গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন। সংস্কৃত কুমারসম্ভব কাব্যের বাঙ্গালা অনুবাদও ই হার দ্বারা হইয়াছে। উপ। "কর্তাজ্যেঠা। এই বইখানায় মাতৃস্নেহ কেমন লিখচে শোন” বলিয়া পাঠ করিতে লাগিল । a. পিতামহ তৎশ্রবণে কহিলেন, “এ লেখকও মন্দ নহে। বরুণ, এ পুস্তকের এবং লেখকের নাম কি ?” বরুণ । পুস্তকের নাম "সুধীরঞ্চন (” ইহার প্রণেতা ৮দ্বারকানাথ অধিকারী। ইনি নদীয়া জেলার অন্তর্গত গোসাই দুর্গাপুর নামক গ্রামে অধিকারী বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি কৃষ্ণনগর কলেজে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। প্রভাকর পত্রে প্রায়ই পন্তে গষ্ঠে প্রবন্ধ 8 מצא