পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা লিখিতেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর ইনি কৃষ্ণনগরে একটী বিদ্যালয়ে মাষ্টারি করিতেন । ১২৬৪ সালে অতি অল্প বয়সে ইহার মৃত্যু হয়, স্বতরাং "স্বধীরঞ্চন” ব্যতীত আর পুস্তক লিখিতে পারেন নাই । অপরাহুে দেবগণ নগর ভ্রমণে বাহির হইবার সময় উপকে ডাকিলেন । উপ কহিল “আপনারা যান—আমি আজ যাব না, বড় হাত পা কামড়াচ্চে ।” পিতামহ তংশ্ৰবণে তাহাকে যাইতে নিষেধ করিয়া সকলে হাটখোলায় যাইয়া উপস্থিত হইলেন । র্তাহার এই স্থানে উপস্থিত হইয়া যে দিকে চাহেন, দেখেন কোন গদীতে চাউলের যেন পাহাড় সাজান রহিয়াছে। কোন গদীতে গম ও অন্যান্য শস্ত সকল কৃপাকার হইয়া হিয়াছে। কোন কোন গদীতে ঘৃত, চিনি, লবণ, পাট ঠাসা রহিয়াছে। ছোট ছোট দোকানও বিস্তর রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন “এই স্থানের নাম হাটখোলা । এখানে চাউল, ধান, গম, তুলা, ঘৃত, চিনি, লবণ, পাট, পেয়াজ, রওন, লস্ক ললুদ প্রভৃতির বিস্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোকান আছে। এই স্থানে অনেক ধনী মহাজনের উক্ত দ্রব্য সকলের আড়ত ও গদী আছে । উক্ত মহাজনদিগের মধ্যে অধিকাংশই পূৰ্ব্বদেশী বাঙ্গাল । কোন দ্রব্যাদি এখানে চালান দিলে আড়তদারেরা ক্রয় করিয়া তৎক্ষণাৎ টাকা দেয় । এখান হইতে দেবগণ হাটখোলার দত্তবাড়ী দেখিতে যান এবং তথায় উপস্থিত হইয়া পিতামহ কহিলেন, “বরুণ । দত্তদিগের বিষয় বল ।” বকুণু । ইহাদের আদি বাস বালীতে । দিল্লীর সম্রাটের নিকট কলিকাতায় জায়গীর প্রাপ্ত হওয়ায় ইহার এই স্থানে আসিয়া বাস করেন। এই বংশে মদনমোহন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। ইনি স্থপ্রসিদ্ধ জমাদার ও সওদাগর ছিলেন ; ইহারই দ্বারায় রামদুলাল দে অতুল ঐশ্বর্ষ্যের অধিকারী হন মদনমোহন অত্যন্ত দয়ালু দাতা ও ধাৰ্মিক ছিলেন । ইনি বিপুল অর্থ ব্যয়ে গয়ার প্রেতশিলায় উঠিবার সিড়ি প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। জগৎরাম দত্ত নামক এই বংশের অপর এক ব্যক্তি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর পাটনার কুটীর দেওয়ান ছিলেন। ইনি পাটনার পাটনেশ্বরী দেবীর মন্দির ও অনেক বিষয় করিয়া দিয়াছেন । এই বংশের অপর কোন মহাত্মা কোন্নগর ও পানীহাটিতে -গঙ্গাতীরে দ্বাদশ শিব মন্দির ও বাধা ঘাট প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । এখান হইতে দেবগণ এক দিকে যাইতেছিলেন, লঙ্কা মরিচের ফঁাজে খক্‌ -খক করিয়া কাসিতে কাসিতে মুখে কাপড় দিয়া অপর দিক দিয়া দামাহাটার $o &