পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ধনাগার লুণ্ঠন করা হয়, তাহাতে দুই কোটি টাকার অধিক ছিল না। ঐ টাকা ক্লাইব প্রভৃতি বিভাগ করিয়া লন ; কিন্তু সিরাজের অস্তঃপুরে অার একটি যে গুপ্ত ধনাগার ছিল, তাহাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যাদিতে প্রায় আট কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল । ঐ টাকা মীরজাফর, আমীর বেগ খণ, রামচাদ ও নবকৃষ্ণ বিভাগ করিয়া লইয়াছিলেন । এইরূপে নবকৃষ্ণ এক কালে প্রায় ক্রোর টাকা প্রাপ্ত হন। লঙ ক্লাইব দ্বিতীয়বার ভারতবর্ষে আসিয়া নবকৃষ্ণের উপর মহারাজ বলবন্ত সিংহের সহিত কণশীর এবং সিতাব রায়ের সহিত বেহারের বন্দোবস্ত করিবার ভারাপণ করিলে তিনি তাহাও অতি স্বন্দরব্রুপে সম্পন্ন করিয়াছিলেন । ইহাতে ক্লাইব সন্তুষ্ট হইয়া দিল্লির সম্রাটের নিকট হইতে প্রথমে নবকৃষ্ণের “রাজা বাহাদুর” ও তৎপরে “মহারাজ বাহাদুর” উপাধি সনন্দ আনিয়া দেন এবং কোম্পানীর বাঙ্গালা, বেহার ও উড়িষ্কার দেওয়ানীর রাজনৈতিক মুৎসুদি পদে অভিষিক্ত করেন। রাজা বাহাদুর উপাধির সনন্দ প্রদান সময় লাট সাহেব কলিকাতায় একটি দরবার করেন এবং কলিকাতাস্থ যাবতীয় ইংরাজকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়া নবকৃষ্ণকে একটা স্বর্ণপদক, মূল্যবান পরিচ্ছদ, তরবারি এবং বহুমূল্য রত্ব প্রদান করিয়াছিলেন । নবকৃষ্ণের উপর মুন্সীর দপ্তর ব্যতীত আরজবেগী দপ্তর, জাতিমালা কাছারি, ধনাগার, ২৪ পরগণার লাল আদালত ও তহশীল দপ্তরের ভার ছিল । নবকৃষ্ণের ধন ও মানসন্ত্রম বৃদ্ধি দেখিয়া তাহার কতিপয় শত্রু ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে তাহার নামে উৎকোচ গ্রহণের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থিত করে, কিন্তু বিচারে ইনি নির্দোৰী দপ্রমাণ হওয়ায় শত্রুদিগের দও হয় । ১৭৭৮ অব্দে হেষ্টিং সাহেব নবকৃষ্ণকে নপাড়া প্রভৃতি গ্রামের বিনিময়ে স্বত্তামুটীর তালুকদারী প্রদান করেন। ইন্দ্র । ঐ স্থানের নাম স্থতাগুটী হয় কেন ? বরুণ। বড়বাজারের শেঠ ও বসাকের কলিকাতার আদি অধিবাসী । ইহার হোগলাবন কৰ্ত্তন করিয়া বাস করায় ইহাদিগকে জঙ্গলকাটা বাসিন্দা কহে । ইহারা জাতিতে তত্ত্ববায় ; ইহাঙ্গের স্থতার স্কট হাটখোলা প্রভৃতি স্থানে রোঁস্ত্ৰে শুকাইত, এজন্য ঐ স্থানের নাম স্বতাঙ্কট হয় । - ব্ৰহ্মা। তার পর—নবকৃষ্ণের বিষয় বল। বরুণ। ১৭৭০ অব্দে নবকৃষ্ণ বর্ধমানের নাবালক রাজা কুমার তেজচন্দ্র বাহাম্বরের অছি নিযুক্ত হন। নবকৃষ্ণ গোড়া হিন্থ ছিলেন । তিনি বৎসর বৎসর বাটতে দুর্গোৎসব করিয়া দীন দুঃখীকে অকাতরে অন্ন

  • ❖»ፃ