পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইনি প্রজার পক্ষ হইয়া গবর্ণমেণ্টের সহিত বাদামুবাদ করিতেন এবং ভূম্যধিকারদিগের সভার একজন সভ্য ছিলেন। সভা উঠিয়া যাইলে ইহার উৎসাহে ও উদ্যোগে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভা সংস্থাপিত হয়। রমানাথ ঠাকুর প্রথমে এই সভার সহকারী সম্পাদক এবং তৎপরে সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ইনি স্বদেশীয়দিগের বিদ্যাশিক্ষার উন্নতির জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেন। ইনি হিন্দুস্কুলের সম্পাদক ও শিক্ষাবিভাগের সদস্য ছিলেন। রমানাথ ঠাকুর কলিকাতার প্রত্যেক সভার এবং মিউনিসিপালিটির প্রত্যেক অধিবেশনে যোগদান করিয়া সাধারণের উন্নতি পক্ষে যত্ব করিতেন। ১৮৫৯ অব্দে রেন্টবিল সম্বন্ধে যে আন্দোলন হয়, ইনি তৎসম্বন্ধে একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রচার করিয়া ঐ বিলের দোষ দেখাইয়াছিলেন । ইনি বাঙ্গালা লেজিসলেটিভ কাউন্সেলে উপস্থিত হইয়া প্রধান প্রধান বিষয় লইয়া তর্ক করিতেন । ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভায় ইহারই পরামর্শ মত কার্য করা হইত। ইনি অতি সদ্বক্তা ছিলেন, প্রতোক বিষয়েই বক্তৃতা দ্বারা নিজ মত বাহাল রাখিতেন । সাধারণ হিতকর কার্ষে দান করা ইহার যেন ব্ৰতস্বরূপ ছিল। ইনি দেশের লোকের অভাব ও দুঃখ সুন্দরূপে বুঝিতে পারিতেন এবং দুঃখ দূর করিবার সাধ্যমত চেষ্টা করিতেন। রমানাথ ঠাকুর রাজা প্রজায় কিরূপ ব্যবহার করা উচিত, তাহীও বিলক্ষণ জানিতেন । লড় নর্থব্রুক ইহাকে রাজা ও ষ্টার অফ ইণ্ডিয়া উপাধি প্রদান করেন এবং দিল্লীর দরবারে লড লিটন ইহাকে মহারাজা উপাধি দেন। ইহার স্থায় সম্মান লাভ কোন বাঙ্গালীর ভাগ্যে ঘটে নাই। এই মহাত্মা ১৮৭৭ অব্দের জুন মাসে কলেবর পরিত্যাগ করিয়াছেন । এখান হইতে যাইয়া বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । সম্মুখে শিবকৃষ্ণ দার বাড়ী দেখুন। ইনি দুর্গোৎসবের সময় অতি সমারোহের সহিত পূজা করিয়া থাকেন। প্রতিমার সাজ জৰ্ম্মণী হইতে আমদানী করা হয় এবং তাহাতে প্রায় তিন হাজার টাকা বায় হইয়া থাকে।” নারা । ওদিকের ও বাড়ীটি কাহার ? বরুণ, মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহের । ইনি কলিকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম নন্দলাল সিংহ । ইনি সপ্তদশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে সংস্কৃত বিক্রমোর্কশী নাটক বাঙ্গলা ভাষায় অনুবাদ করিয়াছিলেন । ইহার হতোম পেচার নক্সা রচনা করিয়া বঙ্গভাষায় এক নূতন রকমের রচনা