পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন জগদীশ্বর ধন দিয়াছেন পরোপকারের জন্য ; অতএব তিনি ক্রিয়া কৰ্শ্ব উপলক্ষে হাজার হাজার গরীবকে দান করিতেন । এমন দিন ছিল না ষে, হাজার হাজার দরিদ্র এই দ্বারে বসিয়া অন্ন প্রাপ্ত না হইয়াছে। ইনি একজন গোড়া হিন্দু ছিলেন। ইনি যাহা দান করিতেন, অতি গোপনে করিতেন । ইনি গরীব ছাত্রদিগের বেতন দিবার জন্ত মাসে ১৫ • টাকা ব্যয় করিতেন । কিন্তু গোপনে দান করিলেও ইহার সর্বত্র মুখ্যাতি ছিল । এমন কি ১৮৭৭ সালে দিল্লী দরবারে রাজপ্রতিনিধি লড লিটন বাহাদুর ইহার দানের স্বখ্যাতি করিয়াছিলেন। ইনি মৃত্যুর ৭৮ বৎসর পূর্বেই বিষয়কৰ্ম্ম হইতে অবসর লন এবং দিবারাত্রি কেবল আহিক, পূজা, শাস্ত্রপাঠ, হরিসংকীৰ্ত্তন করিয়া কাটান । ১২৯১ সালের ৭ই চৈত্র ইহার মৃত্যু হইয়াছে। ওদিকে দেখুন কৃষ্ণদাস পালের বাটা। তাহার ওদিকে ঐ যে বাড়ী দেখা যাইতেছে, যাহাতে হিতৈষী প্রেস লেখা আছে, উহা গোপালচন্দ্র বলোপাধ্যায়ের বাট । গোপাল বাবু নৰ্ম্মাল স্থলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। উহার জন্মস্থান হালিসহর নামক স্থানে । গোপাল বাবুর অনেকগুলি পুস্তক আছে ; যথা—পাটীগণিত, পাটীগণিত-প্রবেশিকা, মানসাঙ্ক ১ম হইতে ষষ্ঠ পৰ্য্যস্ত ; তদ্ভিন্ন ইংরাজী বাঙ্গালাতে আরও ৭৮ খানি পুস্তক হইবে । ইনি এক্ষণে মৃত । . o এখান হইতে সকলে পালেদের বাড়ীর নিকটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন – “ইহারা জাতিতে তেলি । কালীচরণ পাল বিষয় করেন। তাহার পুত্ৰ রাধাচরণ পাল অত্যন্ত ধাৰ্ম্মিক ও পরোপকারী ছিলেন। তাহার পুত্র রামগোবিন্দ পাল ২৫ হাজার টাকা বায়ে কালীঘাটের মন্দিরের সন্নিকটস্থ রাস্ত পাথরের করিয়া দেন । এই মহাত্মা ২৪ হাজার টাকা বায়ে খড়দায় স্নানের ঘাট প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন । বরুণ কহিলেন, “ওদিকে দেখা যাইতেছে শ্ৰীশ বিদ্যারত্বের বাড়ী ৷ ইনি বিখ্যাত কথক রামধন শিরোমণির পুত্ৰ ইহার জন্মভূমি খাটুর গ্রামে। ইনি কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং সৰ্ব্বোচ্চ শ্রেণী পৰ্য্যস্ত ংস্কৃত শিক্ষা করিয়া পরিভোষিক প্রাপ্ত হন । বিদ্যাসাগর যখন বিধবাবিবাহ দিবার জন্য উদ্যোগী হন, সেই সময় ঐশ বিদ্যারত্বের স্ত্রী মরিয়া যাওয়ায় বালিকা বিবাহ করা অপেক্ষ যুবতী দেখিয়া একটা বিধবা বিবাহ করিয়া ফেলিলেন। પકરણ