পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন । কোম্পানীর হুগলীর দেওয়ান নিযুক্ত হন । কয়েক বৎসর কৰ্ম্ম করিয়া কলিকাতায় আসিয়া শুiমবাজারের এই বাটী নিৰ্ম্মাণ করান । ইনি এক সময় ব্যবসার জন্য একলক্ষ টাকার চাউল খরিদ করিয়াছিলেন ; কিন্তু বিক্রয়, করিবার পূৰ্ব্বে দুর্ভিক্ষ হওয়াতে অন্নসত্র খুলিয়া সমস্তই বিতরণ করেন। প্রতি বংসর বাটিতে সমারোহে দুর্গোৎসব করিতেন। প্রতিমা বিসর্জন দিয়া বাটিতে প্রত্যাগমনসময় যত লোক তাহণকে পূর্ণকুম্ভ ( এক কলসী করিয়া জল ) দেখাইত, তাহদের সকলকে এক টাকা করিয়া দান করিতেন । ঐ দিন ১৫১৬ হাজার লোক গঙ্গার তীর হইতে র্তাহার বাটির দরজা পৰ্য্যন্ত পূর্ণকুম্ভ লইয়া বসিয়া থাকিত । ইনি ধৰ্ম্মসম্বন্ধে যথেষ্ট ব্যয় করিতেন । যশোহরের মদনগোপালজী এবং বীরভূমের রাধাবল্লভঙ্গী ই হারই প্রতিষ্ঠিত। ইনি কাশীতে অনেক মন্দির ও শিব স্থাপন করেন, গয়ায় রামশিলার পাহাড়ে উঠবার সিড়ি প্রস্তুত করিয়া দেন । এই মহাত্ম শ্ৰীক্ষেত্রের যাত্রীদিগকে রৌদ্রে কষ্টভোগ করিতে ও পিপাসায় কাতর হইতে দেখিয়া কটক হইতে পুরী পৰ্য্যস্ত বিশ ক্রোশ রাস্তার উভয় পার্থে আম্রবৃক্ষ রোপণ করিয়া দিয়াছেন। যাত্রীরা উহার তলে বসিয়া আস্ত্ৰ খাইয়া পিপাসা নিবারণ করিয়া থাকে । ইনি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের প্রবেশপথের নিকট প্রকাগু সরোবর খনন করিয়া দিয়াছেন। ৭৪ বৎসর বয়সে ই হার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে মদনগোপাল ও গুরুপ্রসাদ বস্থ নামক দুই পুত্র রাখিয়া যান। দেবগণ এখান হইতে গোবিন্দরাম মিত্রের বাড়ী দেখিতে যাইলেন এবং তথায় উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! গোবিন্দরাম মিত্রের বিষয় আমাকে বল ।” * - বরুণ । ই হার পিতার নাম রত্নেশ্বর মিত্র। ই হার ১৬৮৬ সালে কলিকাতার আলিয়া বাস করেন। গবর্ণর জব চাৰ্ণক গোবিন্দরামকে ইংরাজী বাঙ্গালা ও সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী দেখিয়া ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে কৰ্ম্ম দেন। ১৭৫৬ খৃঃ অব্দে পলাশী যুদ্ধের পর গোবিন্দরাম ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে ডেপুটী ফৌজদারীপদ প্রাপ্ত হন। সার গবর্ণর হলওয়েল সাহেক অন্ধকূপহত্যার পর হইতে ইহাকে “ব্ল্যাক ডেপুট” বলিয়া ডাকিতেন । ইনি অত্যন্ত হিন্দু ছিলেন। চিৎপুর রোডের ধারে ই হার প্রতিষ্ঠিত নবরত্ব অস্থাপি বর্তমান আছে । গোবিন্দরামের রাস্তা বড় বিখ্যাত। অদ্যপি চলিত কথায় লোকে বলিয়া থাকে ঃ હરજી