পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন চৌধুরীদিগের ছিল। পূৰ্ব্বে ইহার কিছুই আয় না থাকায় চৌধুরী মহাশয়ের। কালীর পূজারি হালদারদিগকে দান করেন। এক্ষণে ইহার যথেষ্ট আয় হইয়াছে। এত আয় যে, হালদারদিগের রাবণবংশ মুখস্বচ্ছন্দে ও বাৰুগিরির সহিত কাটাইতেছে এবং প্রত্যহ হাজার লোক ইহার দ্বারা প্রতিপালিত হইতেছে। ১২১৬ সালে কালীঘাটের এই মন্দির নির্মিত হয় । ইন্দ্র । হালদারদের কি উপায়ে লাভ হয় ? বরুণ। "এক্ষণে হালদারদিগের বংশ বৃদ্ধি হওয়ায় দেবী সাধারণের ভাগে পড়িয়াছেন । কাহারও ভাগে একদিন, কাহারও ভাগে এক বেলা । এখানে প্রত্যহ শত শত রাজা, জমিদার, মায়ের পূজা দিতে আসে, এবং কেহ স্বর্ণের হাত, কেহ মুণ্ডমালা, কেহ মুকুট প্রভৃতি দিয়া পূজা দেয়। যাহার পালার সময় এই সমস্ত পূজা হয়, তিনিই উহা প্রাপ্ত হন। দেবগণ স্বারে পয়সা দিয়া অতি কষ্টে ভিড় ঠেলিয়া যার নিকট যাইয়া দেখেন, তিনি কাদিতেছেন। ব্ৰহ্মা তদৃষ্টে কহিলেন, “মা ! তুমি কাদচে ?” কালী। বাবা, আমার কান্না বৈ আর কি আছে ? আমায় যে চুষে চুষে রক্ত খাচ্চে । ব্ৰহ্মা । কে মা ? কালী । ছারপোকার বংশ । যখন প্রথম বাহির হই, তখন একটী. ছারপোকা ছিল, এখন পঙ্গপাল ! দেখ বাবা, এমন বংশবৃদ্ধি কখন দেখি নাই । ব্ৰহ্মা । হালদারের তোমার সহিত কেমন ব্যবহার করেন ? কালী । আমি হইয়াছি তাদের পয়সা উপার্জনের পুতুল। যেমন লোকে একটা গরুত্ব পাচটা লিং, একজন মানুষের পাঁচখানা হাত দেখিয়ে পয়সা নেয়, এরা তেমি আমার দ্বারায় পয়সা রোজগার ক’রচে। শীতে কেঁপে মরছি দেখে যদি কেহ আমার গাত্রে একখানি ভাল কাপড় দেয়, “আমার পালা” “আমার পালা” ব’লে, খুলে নিয়ে পালায় । আমার হাত নাই দেখে যদি কেহ চারিখানি সোণার হাত বা মাথায় মুকুট গড়িয়ে দেয়, তৎক্ষণাৎ খুলে নিয়ে গিয়ে পরিবারের গহনা গড়ায় । . * নার। এখানে বিস্তর পূজা আগে নয় ? ' - কালী। অাসে সত্য ; কিন্তু আমি কখনও চক্ষে দেখতে পাইনি। বিস্তর জুয়াচোর জুটেছে, তাহার হালদারদের লোক ৰ'লে ধৰ্ম্মতল থেকে লোক ఆ\లిసి