পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীঘাট তোরা দুরহ ! এমন স্ত্রীতে আমার দরকার নেই, তোদের কালীঘাটে বনবাস দিলাম।” দেবগণ যেমন সবাৰে বাহিরে আসিলেন, কতকগুলো লোক ছুটিয়া আসিয়া তাহাদের কপালে সিন্মুর লেপিতে লাগিল । উপ কহিল “শালার দেশে সবই উন্ট, খুড়িমারা ওদিকে আছেন, তাদের কপালে লিঙ্গুর দিগে না ?” সকলে বাহিরে অসিয়া দেখেন, ছোট ছোট পাটাগুলোকে এমন ভাবে বঁধিয়া রাখিয়াছে যেন গাছের ফল । পিতামহ কহিলেন, “হায় রে পশুর প্রতি অত্যাচারনিবারিণী সভা ! একবার কালীঘাটে এসে দেখে যাও এখানে কি অত্যাচার । বরুণ শীঘ্ৰ গাড়ী ভাড়া কর, এই দণ্ডেই কালীঘাট পরিত্যাগ করিব।” বরুণ তৎশ্রবণে একখানি গাড়ী ভাড়া করিলে দেবগণ তাহাতে উঠিয়া আলিপুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহারা জজ আদালত প্রভৃতি দেখিয়া স্কুল ও কাছারির নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন, একটা ঘরের ভিতর এজলাসে বসিয়া হাকিম বিচার করিতেছেন । দেবতারা বাহিরে অসিলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! দেশী হাকিমদের উৎপত্তির কারণ বল ।” - - বরুণ । এক সময় যমালয়ে কয়েদীদিগের আহারাদির কষ্ট দেওয়ায় তাহারা বিদ্রোহী হয় এবং যম মফঃস্বল ভ্রমণে যাইলে জেল ভাঙ্গিয়া বাহিরে আসে । কয়েদীগণ তাহীদের মধ্যে একজনকে রাজা করে । যম প্রত্যাগমন করিয়া সিংহাসন না পাওয়ায় কাদিতে কঁাদিতে বৈকুণ্ঠে যাইয়। নারায়ণের নিকট দরখাস্ত করিলেন । নারায়ণ যমালয়ে আসিয়া মিষ্ট কথায় তাহাদিগকে তুষ্ট করিয়া মর্ত্যে পাঠান, এবং কহেন, “তোমরা যমের যায় তথায় গিয়া বিচারাসনে বলিয়া বিচার করিবে ।” * এখান হইতে সকলে যাইয়া জুওলজিকেল গাঙেনের দ্বারে উপস্থিত হইলেন। আমি ব্যাঘ্রগণ “হালুম” হালুম শব্দে বানৱগণ “উপ আপ" শব্যে ও বনমামুষেরা “উকু উকু” শবে চীৎকার আরম্ভ করিল। তাহারা প্রথমে ষাইয়া ব্যাক্স ভল্লুক দেখিলেন। ব্যাঘ্র ও ভল্লুকগণ -উfহাদিগকে দেখিয়া চঞ্চল চরণে রেলিংয়ের বাহিরে অসিয়া তাহীদের চরণে জাছাড়িয়া পড়িবার প্রয়াস পাইতে লাগিল, কিন্তু অকৃতকার্ধ্য হুইল । তৎপরে উট, গণ্ডার, শূকর প্রভৃতি দেখিয়া বানরগণের ঘরে আসিলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বানরগণ too (;