পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । ওগুলো মাতলা লাইনের গড়ী। ঐ মাতলা রেল কলিকাতার দক্ষিণ দেশ দিয়া গিয়াছে। মাতলা রেলের ধারে, সোণারপুর চাঙ্গড়িপোত মল্লিকপুর প্রভৃতি অনেকগুলি ভদ্রগ্রাম আছে। সোণারপুর বা চাঙ্গড়িপোতায় নামিয়া রাজপুর হরিনাভি নামক স্থানে যাওয়া যায় । রাজপুরে বিস্তর বৈদিক ব্রাহ্মণের বাস। বৈদিক ব্রাহ্মণ নাটুকে রামনারায়ণ তর্করত্ব হরিনাভি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ব্ৰহ্মা। নাটুকে কি ? তুমি আমায় রামনারায়ণের জীবনচরিত বল । বরুণ ৷ ই হার পিতার নাম রামধন শিরোমণি । ১৭৪৪ শকে ইহার জন্ম হয় । ইনি কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে বিদ্যা শিক্ষা করেন এবং পাঠ সমাপ্ত করিয়া ঐ কলেজে একটা শিক্ষকতা পদ পান। ১৮৫২ অব্দে ইনি পতিব্রভোপাখান এবং ১৮৫৪ অব্দে কুলীন কুলসর্বস্ব নাটক লেখেন। ইহার পর রত্নাবলী, বেণীসংহার, শকুন্তলা, নবনাটক, মালতীমাধব ও রুক্মিণী হরণ নাটক নামক ৬ খানি নাটক রচনা করেন । এই সময়ে ট্রেণ ছাড়িতে ইঙ্গিত করায় ট্রেন স্থপছিপ শব্দে দমদমা, বেলঘরিয়া, সোদপুর, খড়দহ, ( বারাকপুর ), হ্যামনগর, অতিক্রম করিয়া নৈহাটিতে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “নৈহাটা, ভাটপাড়া, কঁঠালপাড়া নামক তিনটী ভদ্রগ্রাম সারি সারি অাছে। ভাটপাড়ার গুরুগুষ্ঠীর বড় বিখ্যাত । ঐ স্থানে অনেকগুলি টোল আছে। পণ্ডিতদিগের পাণ্ডিত্যের মধ্যে, টাকা দিলে সকল বিষয়ের বিধান প্রস্তুত করিয়া দিতে পারেন । কাঠালপাড়ায় রাধাবল্পভঞ্জী নামে একটী বিগ্রহ আছেন । বিগ্রহট উক্তস্থানের চাটুর্ষ্যে মহাশয়ুদিগের, ঠাকুরের বেস সেবা করা হয় এবং অনেক অতিথিসেবা হইয়া থাকে। বিগ্রহের কৃপায় চাটুর্যেরা ধনে পুত্রে লক্ষ্মীলাভ করিয়াছেন। ঐ বাড়ীর প্রায় সকলেই ডেপুটিমাজিষ্ট্রেট। উপন্যাস লেখক স্ববিখ্যাত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঐ বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন ।” ব্ৰহ্মা । আমাকে বঙ্কিমের জীবনচরিত বল । বরুণ । ইনি যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র। যাদব বাবু লণ্ড হার্ডিঞ্জের সময় একজন স্বপ্রসিদ্ধ ডেপুটমাজিষ্ট্রেট ছিলেন। বঙ্কিমের স্মরণশক্তি এত তীক্ষ্ণ যে, ধে দিন হাতেখড়ী হয়, সেই দিনই প্ৰহলাদের স্থায় ৩৪ অক্ষর শিক্ষা করিয়াছিলেন । ইনি পিতার নিকট থাকিয়া প্রথমে মেদিনীপুর স্থলে পড়েন । তথায় ইনি বৎসরে দুই ফ্লাশ করিয়া উঠিতেন । ১৮৫১ সালে ই হার পিতা