পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ব্ৰহ্ম । আউলটীদের বিষয় অামাকে বল। বরুণ । উলার মহাদেব বারুই ১৬১৬ শকের ফাঙ্কন মাসে তাহার অাকের খেতে ৮ বৎসরের একটী বালক পায়। বালকট ১২ বৎসর বারুই গৃহে থাকিয়া কোথায় চলিয়া যায় এবং নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া ২৭ বৎসর বয়সে বেজরা গ্রামে উপস্থিত হয় । ই হারই নাম আউলচাদ । তথায় হটু ঘোষ প্রভৃতি ২২ জন তাহার অনুগত ও সমভিব্যাহারী হন এবং তৎপরে রামশরণ পাল তাহার নিকট উপদেশ গ্রহণ করেন । এই সময় একটা গান উঠে-— এ ভবের মামুষ কোথা হতি এলো । - এনার নাইকে রোষ, সদাই তোষ, মুখে বলে সত্য বল । * এনার সঙ্গে বাইশ জন, সবার একটা মন, জয় কর্তা বলি, বাহু তুলি, কল্পে প্রেমের চলাচল । এ যে হারা দেওয়ায়, মরা বাচায়, এর ছকুমে গঙ্গা শুকুলে । ইতর লোকেরাই প্রথমে কৰ্ত্তাভজা হয় । ১৬১৯ শকে বোয়ালে গ্রামে আউলচাদের মৃত্যু হয়। ব্ৰহ্মা। এত নাম থাকৃতে ইহার নাম আউলচাদ হয় কেন ? বরুণ । হিন্দু ও মুসলমান সকলকেই ইনি সমান ভাবিতেন ও সকলেরই অল্প খাইতেন। মুসলমানের ই হার নাম আউলচাদ রাখে। কৰ্ত্তাভজার। ইহাকে ঈশ্বরবিতার বলিয়া থাকে। তাহারা কহে, কৃষ্ণচন্দ্র, গৌরচন্দ্র আর আউলচন্দ্র তিনে এক, একে তিন । ইহারা আরো কহে, মহাপ্ৰভু পুরুষোত্তমে কলেবর পরিত্যাগ করিয়া আউল মহাপ্রভুরূপে জাবিভুত হন। শ্ৰীকৃষ্ণের সহস্ৰ নামের ন্যায় ই হারও সহস্ৰ নাম আছে। যথা -আউলচাদ, আউল ব্রহ্মচারী, আউলে মহাপ্রভু, ফকির ঠাকুর ইত্যাদি । কৰ্ত্তাভজারা কহে, ইনি অনেক অলৌকিক ক্ষমতা দেখাইয়াছেন। যথা—অন্ধকে চক্ষু, খঞ্জকে পা, রোগীকে সুস্থ, মৃতকে সজীব ও রিজকে ধনী করিয়াছেন। ইনি খড়ম পায়ে গঙ্গার জলের উপর দিয়ে চ'লে যেতেন । কৰ্ত্তাভজাদিগের বিজ্ঞ লোকেরা কহে “এক বিশ্বকৰ্ত্তাকে ভজনা করাই আমাদের ধর্শ্ব।” কর্তাভজার গুরুদিগের নাম মহাশয় ও শিন্যদিগের নাম বরাতি। গুরু শিস্যকে প্রথমে *গুরুসওj” এই এক আনা মন্ত্র প্রদান করেন, তৎপরে জ্ঞান পরিপক্ষ হইলে ষোল অান মন্ত্র দেন । ●懿等 দেব--৪১