পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা । ষোল আনা মন্ত্র কি ? বরুণ। ষোল অান মন্ত্র হচ্চে—“কৰ্ত্ত আউলে মহাপ্রভু, আমি তোমার মুখে চলি ফিরি, তিলাৰ্দ্ধ তোমা ছাড়া নহি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, দোহাই মহাপ্রভু।” ---ہ আউলচাদ ইন্দ্রিয় দোষের ভূয়োভূয়: নিষেধ করিয়াছেন। যথা— “মেয়ে হিজড়ে, পুরুষ খোজা, তবে হয় কৰ্ত্তাভজা (” কর্তাভজারা জাতিভেদ স্বীকার, উচ্ছিষ্ট বিচার করে না ; কিন্তু কাচড়াপাড়ার বৈদ্য কৰ্ত্তাভজারা জাতিভেদ স্বীকার করে । কৰ্ত্তাভজার মন্ত্রজপ ও প্রেমানুষ্ঠান দ্বারা ক্রমে ক্রমে সিদ্ধিলাভ করিতেছে । ইহার মধ্যে মধ্যে বৈঠক করিয়া নানা আমোদে সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত করে । শোনা যায়, বস্ত্রহরণ পর্য্যন্ত বাকী থাকে না । কৰ্ত্তাভজার মহাশয়ের কহে—মন্ত্রদাতা, জগৎপ্ৰভু আউলটাদের স্বরূপ । ঐ ঘোষপাড়ার পালদিগের বাটতে এক গদি আছে ; ষে তাহার উত্তরাধিকারী হয়, তাহকে ঠাকুর বলে এবং কায়স্থ ও ব্রাহ্মণ প্রভৃতি কৰ্ত্তাভজারা যাইয়। সেই ঘোষ ঠাকুরকে প্রণাম করে ও পদধূলি লইয়া পরে পাতের প্রসাদ খাইয়া পবিত্র হয় । আউলচাদের প্রসাদে পালেদের সুখ সৌভাগ্যের সীমা নাই। উহাদের বিস্তর সম্পত্তি হইয়াছে। মহাশয়েরা পালেদের গোমস্ত স্বরূপ । তাহারা শিষ্য সংগ্রহ, ধৰ্ম্মোপদেশ ও দান গ্ৰহণাদি করে এবং শিষ্ণুদিগের নিকট কর আদায় করিয়া পাল কর্তীকে দিয়া আসে। মহাশয়দের লাভ এই, শিষ্যবাড়ী জামাই , আদরে খেতে পায়, ভাল ভাল কাপড় পায়, আরো কত কি পায় । ঘোষপাড়ায় বৎসর বৎসর যুটী করিয়া উৎসব হয় ; যথা দোল ও রাস । দোলে সমাবোহের সীমা পরিসীমা থাকে না ; বিস্তর স্ত্রী ও পুরুষ, নেড় ও নেড়ী আসিয়া উপস্থিত হয়, এবং এক পাতে ১২ট স্ত্রী ও ৮ জন পুরুষ একত্র বসে আহার করে। গান বাদ্য আমোদ প্রমোদ ঘোষপাড়া মাতাইয়া তুলে। এই উপলক্ষে এত যাত্রী জুটে যে, বাগান ও মাঠে তিলাৰ্দ্ধ- স্থান থাকে না। পালকৰ্ত্তাদের বাড়ীতে পৰ্ব্বতাকার ভাত বান্না হয় । মহাশয়ের দলে দলে শিন্ত সঙ্গে আসিয়া কমাঝম্ শবে পাল কর্তাকে টাকা দিয়া প্রণাম করে। এই সময় অনেক বন্ধ্যা নারী ও শত শত রোগী আসিয়া পালদিগের বাটীর দাড়িমতলায় হত্যা দেয় । অনেক রোগী কর্তাদের হিমসাগর নামক পুকুরে স্নান করিয়া পাপ স্বীকার করে । - ets