পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ইন্দ্র। ট্রেণ এত বিলম্ব করতেছে কেন ? বরুণ । কল খারাপ হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । তুমি রাণাঘাটের কাছে আর যে যে ভাল স্থান আছে, তাহাদের বিবরণ বল । বরুণ। রাণাঘাটের তিন চারি ক্রোশ দূরে শাস্তিপুর । এখানে নামিয়া ঘোড়ার গাড়িতে শান্তিপুর যাইতে হয় । শাস্তিপুরে ধনপতি সদাগরের পুত্র শ্ৰীমন্ত বাণিজ্য করিতে আসিতেন । চৈতন্যদেবের প্রিয় শিষ্য অদ্বৈত ঐ স্থানে জন্মগ্রহণ করেন । শাস্তিপুর বহুসংখ্যক লোকপরিপূর্ণ একট বাণিজ্য স্থান। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর এই স্থানে বাণিজ্যাগার ছিল । মারকুইস ওয়েলেসলি মধ্যে মধ্যে এই স্থানে আসিযা বাস করিতেন । শাস্তিপুরের কাপড় বড় বিখ্যাত। ঐ স্থানে ১ • ১২ হাজার উতি বাস করে । শাস্তিপুরে অনেক গোসাই আছেন । র্তাহারা অদ্বৈতের বংশ । গোসাইদের একটী বিগ্রহ আছেন, তাহার নাম খ্যমন্বন্দর । শাস্তিপুরের প্রায় তিন ভাগ লোক বৈষ্ণব । শান্তিপুরের স্ত্রীলোকেরা বড় লজ্জাহীন । শাস্তিপুরের পরপারে গুপ্তিপাড়া । গুপ্তিপাড়ার লোকেরা স্বাভাবিক বেশ চালাক ! পূৰ্ব্বে এই স্বানে বেশ বৃহস্ত আলাপ হইত। মাতালেরা মদ খাইয়া এক্ষণে ঐক্কপ করিয়া থাকে । গ্রামটা বানরের জন্য বিখ্যাত, বানরেরা বড় উপদ্রব করে, এমন কি স্ত্রীলোকের কক্ষ হইতে জলের কলসী লইয়া ভাঙ্গিয়া দেয়। কোন লোককে “তুমি কি গুপ্তিপাড়া হইতে আসিতেছ?” বলিলে বানর বলা হয় । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার গুপ্তিপাড়া হইতে একটি বানর লইয়া গিয়া অতি সমারোহে তাহার বিবাহ দিয়াছিলেন । ঐ বানরের বিবাহে তিনি প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করেন এবং নবদ্বীপ, শাস্তিপুর, উলা, গুপ্তিপাড়া প্রভৃতি হইতে বিস্তর ব্রাহ্মণ নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়াছিলেন । গুপ্তিপাড়ায় কয়েকটা দেবালয় অাছে, তন্মধ্যে বৃন্দাবনচন্দ্র নামক বিগ্রহ বড় জাগ্রত। কেহ ইহার জমী, কি বাগান ও পুষ্করিণী ফাকি দিয়া লইয়া ভোগ করিলে নিৰ্ব্বংশ হয়। বৃন্দাবনচক্সের রথে বড় সমারোহ হইয়া থাকে। এই গুপ্তিপাড়ায় বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম রামদেব তর্কবাগীশ । ইনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন । রাজা কলিকাতায় শোভাবাজারে বিদ্যালঙ্কারকে একটি বাড়ী কিনিয়া দেন। ইনি কলিকাতায় বসাক বাড়ী শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণে যাওয়ায় রাজা কিছু অভক্তি প্রকাশ করেন, ইহাতে বাণেশ্বর কৃষ্ণনগর পরিত্যাগ করিয়া 心愈●