পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেকগণের মৰ্ত্তে আগমন বেড়াইত। তাহারই নাম অনুসারে এই স্থানকে বৃন্দার বন বা বৃন্দাবন কহে । সেই আমাদের নারায়ণকেও খারাপ করে । নারা। বরুণ, চুপ কর ভাই। তোমার মুখে কি অঙ্ক কথা নাই ? বরুণ । ঐ স্ত্রীলোকদিগের সংখ্যা ১০৮ জন। তন্মধ্যে ললিতা, বিশাখ, চন্দ্রাবলী প্রভৃত্তি অষ্টসখী প্রধান। ঐ অষ্টসখীর মধ্যে এক মাগী ভূতুড়ে কালো ছিল, তাহার গাত্রের বর্ণ কুষ্ণের ন্যায় বলিয়া খাম। সখী নাম হয় । চন্দ্রাবলী সকলের অপেক্ষ কিছু সুন্দরী ছিল, কৃষ্ণ অনেক সময়ে রাধিকাকে ফাকি দিয়া তাহার সহিত বিহার করিতেন । কোন কোন দিন চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে নিশা প্রভাত করিয়া আসিয়া রাধিকার কাছে নারায়ণের আর তিরস্কারের পরিসীমা থাকিত না । তিনি যত গাত্রের ঝাল আকথা কুকথার দ্বারা প্রকাশ করিয়া ঘোমটা টেনে মানে বসতেন। ইন্দ্র । মানে বসতেন ? তারপর— বরুণ। শ্ৰীকৃষ্ণ বেগতিক দেখে পরিশেষে বৃন্দার কাছে পরামর্শ নিতেন । সে মাগী পায়ে ধরতে শিখিয়ে দিত। তাতেও মান না ভাঙ্গিলে নারায়ণ মনের দুঃখে কখন বলতেন, “সন্ন্যাসী হয়ে কাশী যাব।” কখন বলতেন “বৈষ্ণব হ’য়ে দ্বারে দ্বারে ফিরবো।” এই প্রকারে তিনি বিদেশিনী প্রভৃতি যা হউক একটা সেজে এলেই বৃন্দা মধ্যস্থ হইয়া বিবাদ ভয়নপূর্বক মিলন করিয়া দিত । বলিতে কি, মাগীগুলো ওঁকে নিয়ে অনেক রঙ্গই করিত—কখন কখন পাঁচ-সাতটা একত্র হয়ে হাতী সেজে পুষ্ঠে লইয়া বনে বনে ফিরতে । কখন বা গাছে তুলে দোলন ও ঝুলন খাওয়াতে, সেজন্য অস্থাপি দোল ও ঝুলনযাত্রা প্রচলিত আছে । এইসময়ে চৈতন্যদাস বাবাজীর কয়েকজন সেবাদাসী আসিয়া ডাকিল—

  • ওগো তোমরা এস।”

নারা । কোথায় যাব ? সেবাদ । রাত হয়েছে, শোবে না ? ইন্দ্র । কেন, আমার ত শুয়ে আছি। সেবাদ । বৃন্দাবনে কি একলা শুতে আছে ? ইন্দ্র । কেন, আমরা ত চারিজন আছি । qe