পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন বৰ্দ্ধমানে যান এবং তথাকার রাজা চিত্ৰসেন ইহাকে সাদরে নিজ সভার প্রধান পণ্ডিত করেন । গুপ্তিপাড়ার পর কালনা । কালনা শাস্তিপুরের অপেক্ষা ছোট, কিন্তু বাজার হাট বেশ পরিষ্কার । কালনায় বৰ্দ্ধমানের রাজার অনেক কীৰ্ত্তি আছে। যথা--রাজার চক, রাজবাটী, সমাজবাটী ইত্যাদি। সমাজবাটাস্তে-রাজা, কি রাণীর মৃত্যু হইলে অস্থি আনিয়া বৃক্ষ করা হয়। রাজা জীবদ্দশায় যেরূপ বাবুগিরি করিতেন, তদ্রুপ সেবা ও খাট পালঙ্ক প্রভৃতি রাখা হয় । কালনায় বৰ্দ্ধমানের রাজার অনেক দেবালয় অাছে, তন্মধ্যে লালজী নামক বিগ্রহ অতি প্রসিদ্ধ। ইহার রাস ও ঝুলানে বেশ সমারোহ হয় এবং প্রত্যহ অনেক অতিথিসেবা হইয়া থাকে। চৈতন্যদেব সংসার পরিত্যাগ কহিয়া দেশ পর্যাটনে যাইবার সময় কালনায় আসিয়া যে তেঁতুলতলায় বিশ্রাম করেন, সেই তেঁতুলগাছ অদ্যপি বর্তমান আছে এবং তাহার তলায় মহাপ্রভুর প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিয়াছে । এই সময় অপর এঞ্জিন ছুটিয়া আসিয়া গপৎ শব্দে ট্ৰেণখানাকে লইয়া স্থপন্থপ শব্দে ছুটিয়া আড়ংঘাটায় উপস্থিত হইল । বরুণ । এই স্থানের নাম আড়ংখাট । আড়ংঘাট চুণী নামক নদীর তীরে অবস্থিত । এখানে একটা বিগ্রহ আছেন, ইহার নাম যুগলকিশোর। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইহাকে অনেক বিষয় করিয়া দিয়াছিলেন। এক্ষণেও দেবালয়ে অনেক নাগা সন্ন্যাসী বাস করিয়া প্রতিপালিত হইতেছে। যুগলকিশোর এক জন মহান্তের তত্ত্বাবধানে আছেন । মহান্ত তেজারতি করিয়া ঠাকুরের বিষয় অনেক বাড়াইয়াছেন । এই মহাস্তের নিকট হইতেই কৃষ্ণপান্তি ছোলা খরিদ করিয়া বড়মানুষ হন । জ্যৈষ্ঠ মাসে যুগলরুপ দেখিলে স্ত্রীলোকেরা পরজন্মে বিধবা হইবে না, বর্তমান মহন্ত এইরূপ স্বপ্ন দেখায় ঐ সময় ডাব অত্যন্ত মহার্ঘ্য হয়। আড়ংঘাটার কিছু দূরে উলা নামক একটা বৃহৎ গ্রাম আছে। ধনপতি সওদাগরের পুত্র শ্ৰীমন্ত সদাগর সিংহল যাত্রাকালে ঐ স্থানে নামিয়া মঙ্গলচণ্ডীর পূজা করেন। সেই চওঁ উলুই চওঁীনামে বিখ্যাত হইয়া অস্থাপি বিরাজ করিতেছেন । ই হার নিকট বৎসর বৎসর সমারোহে একটা করিয়া জাত হইয়া থাকে। জাতের দিন কত যে পাট ও মহিষের প্রাণ নষ্ট হয় বলা যায় না । উলার অপর নাম বীরনগর । বীরনগরের মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের অত্যন্ত সন্ত্রান্ত জমীদার, উলার জমীদারদিগের মধ্যে বামনদাস বাবু বিখ্যাত। বামনদাস বাবুর পিতামহকে কৃষ্ণপান্তি 总载怨