পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন একখানি তালুক খরিদ কবিয়া দেন। ঐ তালুক হইতেই ই হার বিখ্যাত জমাদার হইয়াছেন। উলার মহামারী বড় বিখ্যাত। ঐ মহামারীতেই গ্রামটি এক প্রকার ধ্বংস হইয়াছে। এই সময় ট্ৰেণ আড়ংঘাট অতিক্রম করিয়া বগুলায় যাইয়া উপস্থিত হইল। বরুণ কহিলেন, “এই স্থান নামিয়া ঘোড়ার গাড়ীতে কৃষ্ণনগর যাইতে হয়। কৃষ্ণনগর বগুলা হইতে ৫৭ ক্রোশ দূর হইবে ।” - ব্ৰহ্ম । কৃষ্ণনগরের বিষয় বল । বরুণ । কৃষ্ণনগর রাজা কৃঞ্চচন্দ্র রায়ের জন্য বিখ্যাত। ঐ রাজার প্রপিতামহ রাজা রুদ্রনারায়ণ ঢাকা হইতে অtলাল দস্ত নামক একজন প্রসিদ্ধ স্থপতিকে আনাইয়া রাজবাট ও চক নিৰ্ম্মাণ করেন এবং তাহার দ্বারায় ঐ স্থানের গাড়ালেরা ঐ বিদ্যা শিক্ষা করে। গাড়ালের এমন সুন্দর ঐ কাজ শিক্ষা করিয়াছিল যে, রাজার পূজার দালান তাহার সাক্ষ্য দিতেছে। ১৫• বৎসরের দালানে এ পর্যাস্ত মেরামত আবশ্বক হয় নাই। ঐ স্থানের কুস্তকারেরা বেশ প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ, পট চিত্র ও ছবি গড়ায় নিপুণ । কৃষ্ণনগর হইতেই জগদ্ধাত্রী ও অন্নপূর্ণ প্রথম প্রচারিত হয়। কৃষ্ণনগরের রাজবাটীতে পাঁচটি কামান আছে। ঐ কামানগুলি পলাশী যুদ্ধের পর ক্লাইব সাহেব রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে উপহার দেন। নবাব মীরকাশিম রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে তৎপুত্র শিবচন্দ্র সহ মুঙ্গেরে লইয়া গিয়া তাহীদের বধার্থে ধরিয়া আনিতে লোক পাঠাইবার সময় পিতা পুত্রে যে ভাবে বসিয়া ইষ্টদেবতার স্মরণ করিয়াছিলেন, সেই প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ব্ৰহ্ম । তুমি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জীবনচরিত বল । বরুণ । ইনি ১৭০৫ খৃঃ অন্ধে নবাব মুরশিদ কুলি খণর সময়ে কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি রাজা রঘুরাম রায়ের পুত্র। কৃষ্ণচন্দ্র অসাধারণ মেধাপ্রভাবে সংস্কৃত, বাঙ্গালা ও পার্স ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। ই হার সভায় ভারতচন্দ্র রায়, রামপ্রসাদ সেন, বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, রামশরণ তর্কালঙ্কার এবং অন্থকূল বাচস্পতি প্রভৃতি সভাসদ ছিলেন । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অগ্নিহোত্র, বাজপেয় প্রভৃতি অনেকগুলি যজ্ঞ করিয়াছিলেন । নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পদচাত করিবার জন্য যে সভা হয়, সেই সভার ইনি একজন সভ্য ছিলেন । ১১৯৭ সালে ( ১৫৯৭ খৃ: ) ই হার মৃত্যু হয় । মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র শিবচন্দ্র রাজা হন । নারা । এ রাজা কেমন ছিলেন ? ❖®ረግ