পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । রাজা শিবচন্দ্র, কৃষ্ণনগরে আনন্দময়ী নামে এক কালী, আনন্দময় নামে এক শিব স্থাপনা করেন। শিবচন্দ্রের পর ঈশ্বরচন্দ্র রাজা হন । ইহার" সময় রাজবাটিতে বিষ্ণুমহল, বাবুদ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজা অঞ্জন নামক নদীতীরে এক সুন্দর অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার নাম জীবন রাখেন । ইনি স্বপ্নে দেখিয়া ভাগীরথীতীরে বালুকা মধ্যে এক গোপালমূৰ্ত্তি প্রাপ্ত হন। ঐ গোপাল নবদ্বীপনাথ নামে নবদ্বীপে আছেন । নবদ্বীপের ভবতারিণী কালী ও ভবতারণ শিব ই হারই প্রতিষ্ঠিত। ১৮১৬ খৃঃ আন্ধে লড হার্ডিঞ্জ সাহেব কৃষ্ণনগরে একটি কলেজ স্থাপন করেন। ১৮৪৪ অব্দে ঐ স্থানে একটি ব্রাহ্মসমাজ হয় । নাবা । বরুণ ! তুমি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদুদিগের বিষয় বল। বরুণ । মুক্তারাম মুখোপাধ্যায় । ই হার বাড়ী উলায়। ইনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন । সকল কথায় বেশ সরস উত্তর দিতে পারিতেন । একদিন রাজা কহিলেন—“মুখুয্যে, আমি স্বপ্নে দেখিয়াছি, তুমি বিষ্ঠার হ্রদে ও আমি পায়সের হ্রদে পড়িয়া গিয়াছি।” মুক্তারাম কহিলেন—“আমিও ঐ স্বপ্ন দেখিয়াছি, তবে প্রভেদ এই—দুজনে হ্রদ হইতে উঠিয়া গা চাটাচাটি করিতেছি ।” - গোপাল ভাড় নামক এক নাপিত কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন । ইহার বাটি শাস্তিপুর । ইনি বেশ রসিক ছিলেন। গোপালের একটি স্বন্দর পুত্রকে দেখিয়া একদিন রাজা কহেন—“গোপাল, তোমার ছেলেটি যেন রাজপুত্র।” গোপাল তৎশ্রবণে ছেলেটিকে কোলে লইয়া কহেন—“বাবা, বেঁচে থাক, তোমা হইতে আজ আমি রাজপুত্রের বাবা হইয়াছি।” এক সময় গোপাল ভাড় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সহিত মুরশীদাবাদের নবাববাড়ী যান। ঐ সময় অনেক রাজা আসায় বেগমেরা গবাক্ষ দিয়া দেখিতেছিলেন, গোপালভাড় বেগমদিগের প্রতি চাহে আর চক্ষু ঠারে। সভাভঙ্গের পর নবাব বাটির মধ্যে যাইয়া এ বিষয় শুনেন এবং গোপাল ভাড়কে জীবস্ত কবর দিবার জন্ত ধরিয়া আনেন । গোপাল আসিয়া প্রথমে নবাবের দিকে, তৎপরে সভাসদুদিগের প্রতি চক্ষু ঠারায় নবাব উহার চোখ ঠারা রোগ আছে ভাবিয়া ছাড়িয়া দেন। কৃষ্ণনগর হইতে দুই ক্রোশ দূরে নবদ্বীপ। নবদ্বীপ চৈতন্যদেবের জন্য বিখ্যাত । ব্ৰহ্মা । চৈতন্যদেবের জীবনচরিত বল । も。豊*