পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন যে বহুকালের গ্রাম, ইহা পোড়া মা মামক দেবীকে দেখিলেই জানিতে পারা যায়। এই মূৰ্ত্তি পুরাতন নবদ্বীপের জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন । কাশীনাথের লোকেরা যখন জঙ্গল দগ্ধ করে, তখন ইনি দগ্ধ হন। সেই জন্তই পোড়া মা কহে। ইনি প্রায় একশত বৎসরের একটি ডম্বর বৃক্ষের তলায় আছেন। ইহার সন্নিকটে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের এক বৃহৎ আকারের কালী মন্দিরমধ্যে বিরাজ করিতেছেন । নবদ্বীপের কাসারিরা অত্যন্ত ধনী, প্রায় সৰ্ব্বত্রই ইহাদিগের দোকান আছে । কঁসারিদিগের মধ্যে গুরুদাস র্কাসারি বিখ্যাত লোক ছিলেন, ইহার গৃহে একটি কামধেস্থ ছিল। গুরুদাস বাবুও নাই, তাহার সে কামধেমুও নাই। ঠাহীদের সঙ্গে সঙ্গে বিষয় বিভবও নাই। নবদ্বীপ ন্যায়ুশাস্ত্রের আলোচনার জন্য প্রসিদ্ধ। এখানকার পঞ্জিকা বড় বিখ্যাত। নবদ্বীপের পশ্চিমে জান্নগর। ঐ স্থানে জহ্নমুনির মন্দির আছে, ঐ স্থানে কৃষ্ণনগরের রাজাকে মুরশীদাবাদের নবাব পিপীলিকার ঘরে কারারুদ্ধ করেন। একটি দুর্গামূৰ্ত্তি আছে । পূবে ঐ দুর্গার নিকট নরবলি দেওয়া হইত। দুর্গ যে স্থানে আছেন, সেই স্থানকে ব্রাহ্মণতলা কঙ্গে ! অদ্যাপি বৎসর বৎসর ঐ স্থানে একটি করিয়া মেলা হয়। ঐ মেলাকে ঝাপান কহে। নবদ্বীপ হইতে অগ্রদ্বীপে যাওয়া যায়। অগ্রদ্বীপ যাইতে হইলে মিরতলা নামক স্থান দিয়া যাইতে হয়। ঐ মিরতলায় অত্যন্ত ডাকাইতের ভয় ছিল। অগ্রদ্বীপ গঙ্গার তীরে অবস্থিত। অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ অত্যন্ত বিখ্যাত। ইনি বৎসর বৎসর ঘোথ ঠাকুরের শ্রাদ্ধ করেন । ঘোৰ ঠাকুর চৈতন্তের এক জন শিক্ট, তিনিই গোপীনাথম্ৰ্ত্তি স্থাপন করেন। ১৭৬৩ অব্দে এই স্থানের নিকট মীরকাসিমের সৈন্যগণ ইংরাজ কর্তৃক পরাজিত হয়। ব্ৰহ্মা । ঘোষ ঠাকুরের বিষয় বল । বরুণ । ঘোষ ঠাকুর জাতিতে কায়স্থ। চৈতন্তের শিষ্ট ছিলেন। ইনি এক দিন চৈতন্যদেবের মুখশুদ্ধির জন্য একটি হরীতকী ভিক্ষা করিম আনিয়া অর্ধেক প্রদান করেন ও অর্ধেক পর দিনের জন্য রাখেন। ইহাতে চৈতন্যদেব “অষ্ঠাপি তোমার সঞ্চয়ের ইচ্ছা আছে, অতএব আমার নিকট হইতে প্রস্থান কর” বলিয়া বিদায় দেন। ইহাতে ঘোথ ঠাকুর কহুেন, “আমি আপনাকে পুত্র অপেক্ষ ভালবাসি, অতএব ছাড়িয়া গিয়া কিরূপে থাকিব ?” চৈতন্যদেব তংশ্ৰবণে কছেন, “তুমি যাইয় এক কৃষ্ণমূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া আমার ন্যায় উহার প্রতি বাৎসল্য প্রকাশ করিও” তৎপ্রবণে ঘোষ ঠাকুর অগ্রদ্বীপে যাইয়া গোপীনাথ ఆట)