পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্টেশন নামিয়া শিবনিবাস নামক একটি স্থানে যাইতে হয়। মহারাষ্ট্রীয়দের উপত্ৰৰসময় নিরাপদে বাস করিতে পারা যাইবে ভাবিয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ঐ নগরে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করেন। এখানে অদ্যাপি রাজবাটী প্রভৃতি ও তৎপ্রতিষ্ঠিত রাজরাজেশ্বরী, রাষ্ট্ৰীশ্বর এবং রামচন্দ্র এই তিন দেবমূৰ্ত্তি বর্তমান আছে। রাজরাজেশ্বরের মন্দিরের ন্যায় উচ্চ মন্দির এ প্রদেশে আর নাই । শিবনিবাসেব দক্ষিণ কৃষ্ণপুর নামক একটী গ্রামে অনেক গোয়ালার বাস । এই কৃষ্ণগঞ্চ, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্থাপন করেন। এখান হইতে ট্রেণ ছাড়িয়া চুয়াডাঙ্গায় থামিলে বরুণ কছিলেন, এই ষ্টেশন হইতে ৭.৮ ক্রোশ দূরে মেহেরপুর নামক একটা স্থান আছে। ঐ স্থানের মরিক ও মুখোপাধ্যায়ু জমীদারের বিখ্যাত । মেহেরপুর বেশ ভদ্র গ্রাম । ইহা একটী মহকুমা, সুতরাং এখানে দুই একটা ছোট ছোট অফিস আদালত আছে । মেহেরপুরে বলরাম ভজ নামক কর্তাভজার ন্যায় একটী দল আছে। বলা হাড়ি নামক একব্যক্তি ঐ ধর্থের প্ৰবৰ্ত্তক । বলরাম মেহেরপুরের মল্পিকদের ঠাকুর বাড়ীর চৌকিদার ছিল। এক সময়ে চোরে ঠাকুরের গহনাপত্র চুরী করায় বাবুরা বলরামকে অত্যন্ত প্রহার করেন । প্রহারের পর বলরাম মনের দুঃখে গ্রাম হইতে চলিয়া যায় এবং কিছুদিন পরে বিস্তর শিন্য সংগ্ৰহ করিয়া ফিরিয়া আসে । পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল এবং ট্রেণ রামনগর, জয়রামপুর, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালস, পোড়াদহ, মিরপুর অতিক্রম করিয়া দামুকিয়া ঘাটে উপস্থিত হইল । দেবগণ ট্রেণ হইতে নামিয়া সম্মুখে দেখেন, ভয়ঙ্করী পদ্ম বিরাজ করিতেছেন। দেবগণ পদ্মাকে দেখিয়া তীরে যাইলেন এবং পিতামহ কহিলেন “মা কেমন আছ ?” পদ্মা। অাছি একরূপ মন্দ নয় ? বাবা, আপনি কেমন আছেন ? স্বর্গের কুশল ত ? কলিতে আপনাদের মৰ্ত্তে আগমনের কারণ কি ? ব্ৰহ্মা। গঙ্গকে যেখানে সেখানে বঁধেছে, অত্যস্ত কষ্ট দিচ্চে, তাই মেয়েটকে দেখতে এসেছিলাম। মনে ক’রেছি শীঘ্র নিয়ে যাব । পদ্মা। ওরা নরমের বাঘ। গঙ্গা শাস্ত মেয়ে বলে অত কষ্ট সহ করছে। কৈ আমার কাছে ইংরাজ জামুক দেখি ? *

  • সারা’য় সেতু হওয়ায় পদ্মার এ অহঙ্কার চুর্ণ হইয়াছে।