পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টেশন নাম “দরজেলাম।” স্বাবুজিলিংয়ে অস্তাপি উক্ত নামে একটি স্থান বর্তমান আছে। ঐ স্থানে সময়ে সময়ে ভূটিয়ার সমবেত হইয়া মহাকালের পূজা করিয়া থাকে। তেঁতুলিয়া নামক স্থান ও করতোয় নদীর তীরস্থ শিলিগুড়ি সিকিমপতির অধিকারে ছিল। তেঁতুলিয়া পূৰ্ব্বে রংপুর জেলার মধ্যে ছিল এবং তথায় মাজিষ্ট্রেটের কাছারি হইত। করতোয় হিন্দুদিগের মহা তীর্থস্থান, সতীর মৃতদেহ নারায়ণের চক্ৰে খণ্ড খণ্ড হইলে এই স্থানে বাম কৰ্ণ পড়ে এবং অপর্ণ নামে দেবী ও ভৈরব নামক শিবের উৎপত্তি হয় । তেঁতুলিয়ায় পূৰ্ব্বে সিকিমরাজের সৈন্ত থাকিত । এক সময়ে কৃষ্ণগঞ্জের রাজা ঐ স্থানে বায়ু পরিবর্তন ছলে আসিয়া অসভ্য সৈন্যদিগকে ভয় প্রদর্শন করিবার জন্য একটি ঘোড়াকে রকম রকম সাজে সাজাইয়া পুনঃ পুনঃ জলপান করিতে নদীতে পাঠাইতে আরম্ভ করেন । ইহাতে অসত্য লোকের না জানি কত সৈন্য ও কত ঘোড়া আসিয়াছে ভাবিয়া ভয়ে পলাইয়া যায়। ইন্দ্র । এরূপ কখন হতে পারে ? বরুণ । কেন না হবে ? এক সময় মুঙ্গের ও ভাগলপুরের রাজাতে বিবাদ হয় এবং উভয়ে সৈন্য সামস্ত লইয়া শিবির সন্নিবেশ করেন। ভাগলপুরের রাজা মুঙ্গেরের রাজার মনে ভীতি সঞ্চাবের জন্ত শত শত শালপাতায় দধি ও ছাতু মাখাইয়া নদীতীরে সাজাইয়া রাখেন ইহাতে মুঙ্গেবের রাজা, ভাগলপুরের রাজা বিস্তর সৈন্য আনিয়াছেন ভাবিয়া পলায়ন করেন । দীরজিলিং জেলার দুটি বিভাগ বা ডিবিজন আছে। প্রধানটির নাম ফাসি দেওয়া। ঐ স্থানে পুলিল ষ্টেশন ও মাজিষ্ট্রেটের অফিস আছে। ছোটলাট ইডেন সাহেবের সময়ে দার জিলিংয়ে ট্রামওয়ে চলে। এভারেষ্ট শৃঙ্গ পৃথিবীর অপরাপর পাতশৃঙ্গ অপেক্ষ উচ্চ। ইহার উপর বৌদ্ধদিগের একটা মন্দির আছে, ১৭৬ অস্বে উহাতে অগ্ন্যুৎপাত হয়। দার জিলিংয়ে অনেকগুলি नौ अ६छ्, তন্মধ্যে তিস্তা নদী হিন্দুদিগের তীর্থস্থান বলিয়া বিখ্যাত। ' ব্ৰহ্মা । ঐ নদীতে কি হয় ? বরুণ। বিষ্ণুর চক্রে সতীর মৃতদেহ খণ্ড খণ্ড হইলে তাহার বাম পদ উহাতে পতিত হওয়ার ভ্রামরী নামে দেবী ও অম্বল ভৈরব নামে শিবের উৎপত্তি হয়। দার জিলিংয়ের জঙ্গলে শাল, শিশু, পানীসাজ, শিমূল, বাশ, খয়ের, খড়, পলাশ, বট ও রবার প্রভৃতি নানাবিধ বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এখানে লালকো, বনহরিদ্রা, দারুহুরিত্রা জন্সিয়া থাকে। দার জিলিংবাসীরা মালিং নামক বংশ ❖ግ\©