পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রা বরুণ। ইংরাজ রাজ্যে তৈয়ারি অন্ধও পাওয়া যায়। যেস্থানে প্রস্তুত হয়, তাহাকে হোটেল বলে। হোটেলে চারি পয়সা দিলে মোটামুটি এবং দুই আন৷ দিলে ভালরূপ আহার দেয়। সেখানে শয়নেরও উত্তম বন্দোবস্ত আছে। ব্ৰহ্মা। রাধে কারা ? - বরুণ । ব্রাহ্মণে, মাইনে করা ভাল পাচক-ব্রাহ্মণ আছে। নারা। এখন হতে আমরা হোটেলেই আহার করবো, নচেৎ প্রত্যহ আর হাত পুড়িয়ে রোধে খাওয়া যায় না। দেবগণ স্বান করিতে যমুনাতে চলিলেন । তথায় উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! এই যমুনা-তীরস্থ বালুকার উপর ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।” নারা । আহা! কি চমৎকার সেতুই প্রস্তুত করেছে। বরুণ! পরপারে যে উদ্ধান দেখা যাচ্ছে, উহার নাম কি ? বরুণ। উহা সম্রাট আকবরের কৃত এম্বাদ উদ্যান। ঐ স্থানে রামবাগ নামক র্তাহার একটি অত্যুৎকৃষ্ট বৈঠকখানাও আছে। দেবগণ স্নান করিয়া আহ্নিক করিতেছেন, এমন সময়ে এক অবগুণ্ঠনাকৃত স্ত্রীলোক আসিয়া ব্ৰহ্মার চরণে প্রণামপূর্বক রোদন করিতে লাগিল। ব্ৰহ্মা। দুঃখিনি! তুমি কে ? স্ত্রীমূৰ্ত্তি কহিল, “বিধাতা! আর আমাকে চিন্তে পারবে কেন ? ধাত, স্মৃতিক-ঘরে কি আমার ভাগ্যে এত কষ্টও লিখতে আছে ? উদ্ধার কর । আমি আমার কপালের লিখন জলে ধুয়ে আসি, আর এক কলম ভাল করে লিখে দাও । আর সহ হয় না-ওমা! প্রাণ যায়।” 参 ব্ৰহ্মা। কে, যমুনা ! ভগিনি ! তোমার আজ এ অবস্থা কেন ? দিদি, তোমার দুঃখ দেখে যে আমার প্রাণ ফেটে যাচ্চে ! যমুনা। বিধে! তোমার মন্থন্যেরা আমার কি ছৰ্দশ করেছে দেখ। তাহারা আমাকে এলাহাবাদ প্রভৃতি স্থানে এমন করে বেঁধেছে যে, আর আমার পাশ ফিরে শোবার ক্ষমতা নাই । আমি বন্ধনদশাতে অস্থির হয়ে, রাতদিন কেবল কেঁদে কেঁদে চক্ষের জলে জলবৃদ্ধি করচি। ও মা ! প্রাণ যায়, আর সন্থ হয় না । “ነው