পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠক, যারা ধর্মপ্রিয় তাদের জন্ত ভবানীচরণের ট্রাডিশন সমানে আরোপ করতে চাইলেন ঐ একই জিনিসের মাধ্যমে। কলকাতার খ্যাতনাম পুরুষেরা মৃত্যুর পর পরলোকে ভ্রমণ করতে গেলেন। আর তারই ভ্রমণকাহিনী রচনা করার একই সঙ্গে ছ ধরনের রুচিসম্পন্ন পাঠকের ছমুখে রুচির তৃপ্তি সাধন করা গেল একাধারে । ১৮৭৫ খৃষ্টাবে প্রকাশিত হল স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় : প্রথম খণ্ড । দুবছর পরেই দ্বিতীয় খণ্ড । ‘ঈষৎ ব্যঙ্গ ও কৌতুকের স্বরে সমসাময়িক সমাজের ও সাহিত্যের সমালোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে । সবচেয়ে বড় কথা বইটির লেখকের নাম অজ্ঞাত । ড: সুকুমার সেন অনুমান করেছেন লেখক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত এবং জোড়াসাকো ঠাকুর বাড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত । স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় বইটি পুনমূদ্রিত হয়েছে সম্প্রতি । সেই বইটি সম্পাদন প্রসঙ্গে সম্পাদক অকুমান করেছেন, এই গ্রন্থের লেখক হরনাথ বসু । বইটির আখ্যাপত্রে লেখকের নাম নেই। বেঙ্গল লাইব্রেরীর ক্যাটালগে লেখকের নাম অনুমান করা হয়েছে হরনাথ ভঞ্জ । ন্যাশনাল লাইব্রেরীর ক্যাটালগও বিনা প্রমাণে সেই অল্পমান অমুসরণ করেছে । বইটির প্রকাশক মির্জাপুরের বাল্মিকীষন্ত্ৰ—যার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন স্থলাঙ্গ যমসম পুরুষ হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ব। বাল্মিকীযন্ত্রের মালিক দ্বারকানাথ ভঞ্জ । হরনাথ ভর তারই ভাই। কিন্তু এইটুকুতেই হরনাথের স্বীকৃতি বড় হয়ে ওঠে না । বাল্মিকীখন্ত্রের প্রতিষ্ঠারও একটি ইতিহাস আছে । কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত অনুবাদ প্রচেষ্টায় হেমচন্দ্র বিদ্যারত্বকে সক্রিয় ংশগ্রহণ করতে হয় বিদ্যাসাগরের অঙ্গুরোধে । এর পর হেমচন্দ্র জোড়াসাকে ঠাকুরবাড়িতে কাজে যোগ দেন। এই সময়ে হেমচন্দ্রের কাজ ছিল ঠাকুরবাড়ির নিয়মিত পূজার কাজে পৌরহিত্য এবং অন্তঃপুরের মেয়েদের সংস্কৃতে, বিশেষত রামায়ণ অনুবাদের শিক্ষা দেওয়া । এছাড়া তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার কাজ এবং জমিদারীর কাজ তো ছিলই । এই সময় হেমচন্দ্র রামায়ণ অনুবাদের কাজে স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। ‘ব্রাহ্মসমাজের লাইব্রেরীর আশ্রয়ে আসিয়া তিনি (হেমচন্দ্র ) রামায়ণের রস মাধুধ্যে আকৃষ্ট হন । নানাস্থান হইতে পুথি সংগ্ৰহ করিয়া তিনি রামায়ণের পাঠোদ্ধার করেন এবং নানা পাঠান্তর ও টীকা সমেত অনুবাদ রামায়ণ প্রকাশ করিতে সংকল্প করেন। কিছুমাত্র মূলধন না লইয়। এই বিরাট ব্যাপারে হস্তক্ষেপ 岱》