পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৭২

দেবগণের মৰ্বে আগমন নারা । আহা ! এরাই যথার্থ মুখভোগ করেছে । আমরা দেবতা হয়ে কি করেছি। সকলে শীষমহলের নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কছিলেন, “দেখুন পিতামহ । এই স্থানকে শীষমহল কহে । এস্থানের প্রাচীর কাচের।” ইন্দ্র। এখানে কি হইত ? বরুণ। এই গৃহে বেগমেরা স্নান করিতেন। স্বানের পর এলোচুলে, ভিজে কাপড়ে স্ত্রীলোকদিগকে বড় মুন্দর দেখায়। এজন্ত সম্রাটেরা দেখিবেন বলিয়া গৃহের প্রাচীর কাচের করিয়াছিলেন । নারা। সখ ত মন্দ নহে! নানা রঙ্গের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথর দিয়া সাজান এটি কি ? আহা ! এমন সুন্দর পাথর তো কখন চক্ষে দেখি নাই। বরুণ । উহা একটি কবর। ওদিকে সম্রাটের অন্দরের বাগান দেখুন। ঐ বাগানে এমন স্বন্দর স্বন্দর পুষ্প আছে, যাহা দেবতারা কখন চক্ষে দেখেন नांझे । এইস্থান হইতে দেবগণ দেওয়ানখানা দেখিতে চলিলেন । যাইবার সময় বরুণ কহিলেন, “দেখুন ঠাকুরদাদা ! এই যে মুড়ঙ্গ দেখিতেছেন, লোকে বলে ইহার ভিতর দিয়া আগ্রা হইতে দিল্লী পৰ্য্যন্ত পাওয়া যায়।” ব্ৰহ্মা । উঃ! অদ্ভূত ক্ষমতা ! ক্রমে দেবতারা দেওয়ানখানায় উপস্থিত হইয়া প্রকাও দালান দেখিয়া অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইলেন। বরুণ বহিলেন, “এই দালান লম্বায় ১৮৯ ফিট এবং গ্রন্থে ৬০ ফিট । এই দালানে একখানি সিংহাসন ছিল, তাহাতে বসিয়া আকবর প্রত্যহ দরবার করিতেন। সোমনাথদেবের বিখ্যাত চন্দনকাঠের দরজা দস্বারা হরণ করিয়া আনিয়া ঐ স্থানে রাখিয়াছিল।” ব্ৰহ্মা। আহা ! ঐ দরজার জন্য সদাশিব অদ্যাপি মধ্যে মধ্যে আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করিয়া থাকেন। বরুণ । ওদিকে দেখুন মতি-মসজিদ। ভাল ভাল শ্বেতপাথর মতির সহিত মিলাইয়। ঐ মসজিদ প্রস্তুত হয়। এ কারণ মতি-মসজিদ নাম হইয়াছে। মতিমসজিদের নিকট সকলে উপস্থিত হইলে ব্ৰহ্মা কহিলেন, “আহা ! মতি-মসজিদই বটে।” Պեր