পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন নারা। বেটার চুলির যত আবদার আমাদের কাছে। বে কি পূজার সময় ! নবাবপুত্রদের তেল দেও, জলখাবার দেও, বকুশিশ দেও কিন্তু ঢোলে আর কাঠি পড়ে না। জব্দ বেটারা মুসলমানের কাছে । বাপ ! একঘেয়ে বাজিয়ে মাথা গরম করে দিলে । - পরদিন প্রাতে সকলে বিখ্যাত তাজমহল দেখিতে চলিলেন । নিকটে উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ । এ কি ! আমার ইচ্ছা হচ্চে, চতুর্মুখ এবং অষ্টচক্ষু বাহির কবিয়া কেবল দেখি ” ইন্দ্ৰ কহিলেন, “আমারও ইচ্ছা আজ সহস্ৰলোচন বাহির করি, কিন্তু কি জানি পাছে নূতন জানোয়ার ভেবে চিড়িয়াখানায় আটক করে।” নারায়ণ কহিলেন, “যে এই তাজ প্রস্তুত করেছে, সে আমাদের বিশ্বকৰ্ম্মার বাবার বাবা।” বরুণ। ইহার পাচটা চুড়া দেখুন কত উচ্চ। তাজ যমুনার উপর অবস্থিত। এ কারণ নৌকা হইতে দেখিতে বড় স্বন্দর দেখায়। ইহার তুল্য উচ্চ মসজিদ পৃথিবীতে আর নাই। বাইশহাজার লোক বাইশবৎসরে ইহা নিৰ্ম্মাণ করে। আগ্রী তাজমহলের জন্ত বিখ্যাত । ব্ৰহ্মা। দেয়ালে যে বৃক্ষলতা এবং ফলপুপসকল রহিয়াছে, প্রথমে সত্য বলিয়া আমার ভ্রম হইয়াছিল। বরুণ। একসময়ে এইসমস্ত বৃক্ষলতা ও ফলপুষ্প হীরা ও মণিমুক্তাস্বারা স্থসজ্জিত ছিল। মহারাষ্ট্রীয় দম্বারা সেইসমস্ত হীরা ও মণিমুক্ত প্রাচীর হইতে উঠাইয়া লইয়া গিয়াছে। সকলে মসজিদ-মধ্যে প্রবেশ করিয়া আশ্চর্য্যের সহিত চারিদিকে চাহিতে লাগিলেন এবং একটি কবর দেখিয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ ! এ স্থানটি কি ?” বক্ষণ । ইহাকে মমতাজমহল কহে। এই স্থানে জাহাঙ্গীর বাদশাকে কবর দেওয়া হয় । ব্ৰহ্মা । ওদিকে যে কবর দেখা যাচ্চে, উহা কাহার, এবং তাজমহল নিৰ্ম্মাণের কারণ কি ? বরুণ। ওদিকের কবরটি সাজাহানের প্রিয় বেগম মমতাজের। একদা তিনি সম্রাটের সহিত তাস থেলিতে খেলিতে কহেন, “নাথ ! আমি মলে তুমি কি করবে ? তাহাতে সম্রাট প্রত্যুত্তর দেন, “প্রিয়ে! তোমাকে এমন স্থানে কবর lys