পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন দেবগণ ষ্টেশনে যাইয়া কানপুরের টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন। ট্রেণ ছপাছপ শব্দে যথাসময়ে কানপুরে গছছাইয়া দিল । কানপুর ষ্টেশন হইতে বাহির হইয়। দেবগণ এক্কাগাড়ি ভাড়া করিলেন এবং সকলে তাহাতে আরোহণ করিয়া প্রশস্ত রাজবত্মের মধ্য দিয়া অসংখ্য উদ্যান এবং বাঙ্গলা দেখিতে দেখিতে নগরমধ্যে প্রবেশ করিলেন। একটি দোকানে বাসা স্থির হইল, তথায় কিয়ৎক্ষণ বিশ্রামের পর সকলে স্নানার্থ সতীচোঁড়ার ঘাটে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! এ ঘাটের নাম সতীচোঁড়ার ধাট হইল কেন ?” বরুণ। পূৰ্ব্বে এই ঘাটে অনেক সতী মৃতপতিসহ সহমৃতা হইতেন, এইজন্য ইহার নাম সতীচোঁড়ার ঘাট হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । সহমৃতা হইতেন কেন ? - বরুণ। ভারতের অনেক স্থানে স্বামীর মৃত্যু হইলে স্ত্রীলোকেরা আর বিবাহ করিতে পারে না, তাহাদিগকে আজীবন পতিবিরহানলে দগ্ধ হইতে হয় । এ কারণ সতীরা নিজে নিজেই মৃতপতিকে কোলে লইয়া প্রজ্জলিত চিতারোহণপূর্বক প্রাণপরিত্যাগ করিয়া চিরকাল দণ্ড হওয়ার হাত হইতে নিস্তার পাইতেন। ব্ৰহ্মা । আহা! আমার সোনার ভারত সতীত্বের আকর। বরুণ ! কলিতেও কি এমন সতী আছে ? অদ্যাপি কি সতীরা পতিবিরহ-অনলে প্রাণ পরিত্যাগ করেন ? বরুণ। অনেক দিন পর্য্যন্ত ঐ সহমরণ-প্রথা প্রচলিত ছিল, পরে ইংরাজ রাজপ্রতিনিধি লর্ড বেণ্টিঙ্ক ঐ ভয়ানক হত্যাকাও রহিত করেন। ব্ৰহ্মা । ভয়ানক হত্যাকাও কিলে ? বরুণ। ইদানীন্তন স্ত্রীলোকেরা অতি-অল্পবয়সে বিধবা হইতে লাগিল, এবং তাহাজের আত্মীয়-স্বজনও অত্যন্ত অস্তায় আচরণপূর্বক তাহাদিগকে দগ্ধ করিতে লাগিলেন দেখিয়া গবর্ণরের সরলদ্ধদয়ে দয়ার উন্ত্রেক হওয়াতে তিনি সতীদাহ নিবারণ করেন । * bు: