পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানপুর ইন্দ্র । আমরা অতঃপর ক্রিয়াকৰ্ম্ম উপলক্ষে কলের ময়দা ব্যবহার করিব এবং স্বর্গেও ২১টি ময়দার কল বসাইব । এখান হইতে দেবতারা হত্যাগৃহ, হত্যাকুপ দেখিতে চলিলেন। দ্বারের নিকট উপস্থিত হইলে পাহারাওয়ালা কহিল, “হিন্দুস্থানীর ভিতরে যাওয়া নিষেধ ।” বরুণ। আমরা হিন্দুস্থানী নহি । নারা। বরুণ ! হিন্দুস্থানীরা যাইতে পায় না কেন ? বরুণ। হিন্দুস্থানীরাই ঐ ভয়ানক হত্যা করিয়াছিল। পাহা । আপনার ছাতা, ছড়ি, জুতা এইস্থানে রাখিয়া ভিতরে প্রবেশ করুন ; কিন্তু সাবধান ! ঘাড় হেঁট করিয়া যাইবেন, গান করিবেন না কিংবা শিস দিবেন না । দেবগণ গেটের নিকট ছাত প্রভৃতি রাখিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। যাইতে যাইতে ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! দেখ আমাতে কি দুঃখের চিহ্ন প্রকাশ পাচ্চে ?” বরুণ। স্থলবিশেষে যদি প্রকাশ পায় ক্ষতি নাই । সকলে ভিতরে প্রবেশ করিলে বরুণ কহিলেন, “দেখুন পিতামহ ! ঐ সেই ভয়ানক হত্যাগৃহ। ঐ গৃহে সিপাহীরা ২৬ জন ইংরাঙ্গকে প্ৰহারে জর্জরিত করিয়া অৰ্দ্ধজীবিতাবস্থায় ঐ কূপে নিক্ষেপ করিয়াছিল। হত্যাকাণ্ডের পর গৃহে এক ইঞ্চি পরিমাণ রক্ত জমিয়াছিল। গৃহের প্রাচীর ইত্যাদিতে যে রক্তের দ্বাগ দেখিতেছেন, উহা সেই সময়ের ; কিন্তু এমন যত্ব করিয়া রাখিয়াছে যে, দেখিলে বোধহয় হত্যাকাও এই কতক্ষণ সমাপ্ত হইয়াছে । আহা! দুরাচারদিগের অত্যচার অদ্যাপি স্মরণ হইলে সৰ্ব্বশরীর রোমাঞ্চিত হইতে থাকে। তাহারা পিতামাতার ক্রোড় হইতে বলপূর্বক পুত্র কড়িয়া লইয়া শূন্তে নিক্ষেপপূৰ্ব্বক তরবারিদ্বারা খণ্ড খণ্ড করিয়াছিল। পতির হস্তপদ বন্ধন করিয়া তৎসম্মুখে অগ্রে স্ত্রীর স্তন, পরে নাসিকাকৰ্ণ ছেদনপূৰ্ব্বক জীবিত্তাবস্থায় কূপে নিক্ষেপ করিয়া পরে স্বামীকে নানারূপ উৎপীড়িত করিয়া হত্যা করিয়াছিল, ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে পেরেকের দ্বারা দেওয়ালে সংলগ্ন করিয়া পৈশাচিক হাস্তে গৃহপূর্ণ করিয়াছিল। জনেক ইংরাজকে "তোমরা নিক্ৰিমে পলায়ন কর’ এই আশ্বাস দিয়া নৌকায় υ, β.