পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিলেন । অথচ কাগজে ছাপাই-এ কোথাও কার্পণ্য করেন নাই । তাহার মতে সস্তায় ছাপাইয়া বিষয় বস্তুর অপমান করা হইত। ‘খগুশ: রামায়ণ প্রকাশে হেমচন্দ্রের উদ্যম দেখিয়া দ্বারকানাথ ভঞ্জ র্তাহাকে সটীক ও সামুবাদ রামায়ণ প্রকাশে অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন। এই অর্থ সাহায্যের ফল শুভ হয় নাই । শেষ পর্য্যন্ত উভয়ের মধ্যে মকদ্দমা হয় । আইনত হেমচন্দ্র অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য ছিলেন না বটে কিন্তু তিনি পাই পয়সাটি পর্বস্তু তাহাকে অর্পণ করেন । সমস্ত টাকা শোধ করিতে তিনি নিজেকে নিঃস্ব করিয়াছিলেন। ১ এই উদ্ধৃতি থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় হেমচন্দ্র বাল্মিকী যন্ত্রের মালিক না হয়েও দ্বারকানাথ ভঞ্জের প্রাপ্য সমস্ত টাকা আইনত বাধ্য না হয়েও পুরোপুরি শোধ করে দিয়েছিলেন। হেমচন্দ্র সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন কিন্তু ব্যবসায়ী ছিলেন না । ফলত ‘তিনি ধনী হইবার আশায় বই ছাপান নাই। ছাপান বইগুলি অধিকাংশ দপ্তরীর কাছে বাইবার পূর্বেই একে একে অদৃপ্ত হইত। শেষ পৰ্য্যন্ত তিনি নিজের জন্য একখানি কপিও রাখিতে পারেন নাই । এজন্য র্তাহার মনে কোন ক্ষোভ ছিল ন। পাচ টাকা মূল্যের প্রব্যের বিনিময়ে ষে পাঁচটি টাক পাইতে হইবে এত সব তিনি বুঝিতেন না। আরও একটি আশ্চর্ষ্য ব্যাপার, yদ্বারকানাথ ভঞ্জের সহিত তাহার যে মনোমালিপ্ত হইয়াছিল, তাহারও কোন লক্ষণ ভবিষ্ণুতে দৃষ্টিগোচর হয় নাই। ভঞ্জ পরিবায়ের সহিত র্তাহার হৃদ্যতাই বরাবর লক্ষ্য করিয়াছি।’ হরনাথ ভঞ্জ দ্বারকানাথের ভাই । আগেই বলেছি হেমচন্দ্র শুধু সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মুরসিক । জোড়ার্সাকোর ঠাকুরবাড়ির জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে ছিলেন জ্ঞানী ও স্বরসিক। দ্বিজেন্দ্রনাথও হেমচন্দ্র পরস্পরের গুণে একান্ত মৃদ্ধ ছিলেন। জীবনস্থতিতে রবীন্দ্রনাথও লিখেছেন দ্বিজেন্দ্রনাথের ঘরের কড়ি ফাটানো হাসির কথা তার মনে আছে । দ্বিজেন্দ্রনাথ হেমচন্দ্রকে বলতেন ‘ভড়জি’ । 'vদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভড়জির ( বিস্তারত্ব ) সহিত আলোচনা না করিয়া ১. বনবিহারী মুখোপাধ্যায় পত্র সাহিত্য পৃ—s • যোগেশ চন্দ্র বাগল সাধক চরিত মাল৷ পূ—৫১ ծՀ